নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লড়েছিলেন দুটি আসনে, গুজরাটের গান্ধীনগর এবং উত্তরপ্রদেশের বারাণসী। তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও লড়েছিলেন দুটি কেন্দ্র থেকেই – উত্তরপ্রদেশের আমেঠির পাশাপাশি কেরলের ওয়ানাড় থেকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মেনে নিলে, মোদী থেকে রাহুল গান্ধী, কেউই আর একটির বেশি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। শুক্রবার (৭ অক্টোবর), ১৯৫১ সালের জন-প্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের সুপারিশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারা বলেছে, এক ব্যক্তি শুধুমাত্র একটি আসন থেকেই লড়তে পারবেন।
২০০৪ সালেই প্রথম এই প্রস্তাব দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু, তারপর গত ১৮ বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও নাড়াচাড়া করা হয়নি। এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফের এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হল। সূত্রের খবর, রাজীব কুমারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পরই এই প্রস্তাবটি ফের গতি পেয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রকের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা চলছে। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধনী আনতে হবে।
১৯৯৪ সাল পর্যন্ত কোনও প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। তবে তারপর জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধন করা হয়েছিল। বর্তমানে, এই আইনের ৩৩(৭) ধারা অনুযায়ী একজন সর্বোচ্চ দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে, একই আইনের ৭০ ধারার আওতায় লোকসভা বা বিধানসভায় দুটি নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না প্রার্থীরা। ২০০৪ সালে দেওয়া প্রস্তাবে, নির্বাচন কমিশন আইনটি সংশোধনের কারণ হিসেবে আইনের এই ফাঁকের কথাই উল্লেখ করেছিল।
তারা জানিয়েছিল, যদি কোনও প্রার্থী দুটি আসন থেকে জয়ী হন, তবে তাঁকে একটি আসন খালি করে দিতেই হয়। বিজয়ী প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনের জন্য সরকারি কোষাগারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হয়। যদি একজন প্রার্থী একটি আসন থেকেই লড়াই করেন, তাহলে উপনির্বাচনের জন্য সরকারি কোষাগারে খরচের বোঝা কমবে। এছাড়া, সব উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকে। ফলে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটে না।