পানাজি: আরও জটিল হচ্ছে সোনালি ফোগটের মৃত্য়ু রহস্য। বাড়ছে গ্রেফতারির সংখ্যাও। শনিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও একজন। গোয়া পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগটের মৃত্যু রহস্যে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযুক্ত আরেকজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে মাদক সরবরাহ করছিল, ওই অভিযুক্ত সোনালি ফোগটের খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এর আগে সোনালি ফোগটকে যে রেস্তরাঁয় শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেই রেস্তরাঁর মালিককেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরফে এখনও অবধি ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেস্তরাঁর মালিক, কর্মচারী ও রিসর্টের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও সোনালি ফোগটের গাড়ির চালককেও প্রশ্ন করা হয়েছে। অন্য়দিকে, এই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুধীর সাঙ্গওয়ান ও সুখবিন্দর সিংকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুধীর ও সুখবিন্দরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মালিক ও ড্রাগ ডিলারদের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রোপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোনালি ফোগটকে তাঁর সহকারি জোর করে কিছু একটা পান করানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে, সোনালি ফোগটের পানীয়ে মেটামফেটামিন মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অঞ্জুনা বিচের কার্লি নামক ওই রেস্তরাঁ কাম নাইটক্লাবের শৌচালয়টিকেও সিল করে দেওয়া হয়েছে।
গ্রান্ড লিওনি নামক যে রেস্তরাঁয় সোনালি ফোগট ছিলেন, সেই হোটেলেরও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় ফিরেছিলেন সোনালি, তিনি টলতে টলতে ফিরছিলেন, তাঁকে ধরে নিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তরা। পরদিন ভোরেই তাঁকে পানাজির সেন্ট অ্যান্থনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোনালি ফোগটের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হলেও, পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়, ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাত করা হয়েছিল সোনালি ফোগটকে।