শ্রীনগর: ফের নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে জঙ্গি হামলা। স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগেই উপত্যকায় একের পর এক জঙ্গি হানার শিকার হচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী সহ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশেরা। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে সেনাবাহিনীর উপরে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় গুরুতর আহত হন এক পুলিশকর্মী। তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানেই তিনি হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, শনিবার কুলগামের কাইমোহতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ছোড়া গ্রেনেডের বিস্ফোরণের জেরেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক গুরুতর আহত হন। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারের নাম তাহির খান। তিনি পুঞ্চের মেন্ধার অঞ্চলের বাসিন্দা। হামলার পরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি প্রাণ হারান।
কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “গতকাল রাতে কুলগামের কাইমোহতে গ্রেনেড হামলার খবর মিলেছে। এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় পুঞ্চের বাসিন্দা পুলিশ অফিসার তাহির খান গুরুতর আহত হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য় অনন্তনাগের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও, সেখানেই তিনি প্রাণ হারান।”
এদিকে, শনিবার শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকাতেও গ্রেনেড হামলা চলে। ওই ঘটনায় এক সিআরপিএফ জওয়ান ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। পুলিশের তরফেই টুইট করে জানানো হয়, শনিবার বিকেলে শ্রীনগরে আলি জান রোডের উপরে আচমকাই নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। ওই গ্রেনেডের বিস্ফোরণে আহত হন এক জওয়ান ও পথচলতি এক স্থানীয় মানুষ।
স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগেই উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে একের পর এক হামলায় উদ্বেগ বেড়েছে। চলতি সপ্তাহেই জম্মুর রাজৌরি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেনা ছাউনিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় দুই জঙ্গি। সংঘর্ষে ওই দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হলেও, শহিদ হন চার জওয়ানও। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জম্মু-কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।