বেঙ্গালুরু: ২৬টি বিরোধী দল মিলে তৈরি করছে নয়া জোট। ইন্ডিয়া। বাস্তবে কতটা ছাপ ফেলতে পারবে বিরোধীদের এই মহাজোট? আঞ্চলিক রাজনীতির সমীকরণ কি বাধা হয়ে দাঁড়াবে? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলছেন, ‘অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে আমরা একসঙ্গে এসেছি। আমাদের কাছে দেশ সবার আগে।’ একইসঙ্গে স্থানীয় সমীকরণের কথাও উঠে আসে খাড়্গের গলায়। জানিয়ে দিলেন, আঞ্চলিক রাজনীতির সমীকরণকে দূরে সরিয়ে রেখে জোটের রসায়ন তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির কথায়, ‘প্রতিটি রাজ্যেই আমাদের (বিরোধী দলগুলির) কিছু না কিছু রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আমরা সেগুলিকে পিছনে রেখে জোটকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কীভাবে দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষা করা যায়, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এই জোট। দেশের স্বার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে আসা উচিত বলে আমরা মনে করছি।’
উল্লেখ্য, স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ বিরোধীদের জোটের জন্য একটি অন্যতম বড় সমস্যা বলে মনে করছিলেন অনেকে। যেমন বাংলার ক্ষেত্রে সিপিএম আর কংগ্রেস উভয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু এদিকে সীতারাম ইয়েচুরি, সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা বৈঠক করছেন বেঙ্গালুরুতে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে রাজ্যে কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি বার বার এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি দিল্লির এক বৈঠকে উত্তর পূর্বের কংগ্রেস নেতারাও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূল বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় না। পঞ্জাবে আবার কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে সরকার গড়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের দল। কেরলে আবার সিপিএম ও কংগ্রেস একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। এমন অবস্থায় বেঙ্গালুরুর বৈঠক শেষে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।