Pak Occupied Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর কম্যান্ডারকে জুতোপেটা, দুর দুর করে তাড়াল বাসিন্দারা! নেপথ্যের ঘটনা আরও চমকাবে…
Pak Occupied Kashmir: ৩০ জুলাই যখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কুইয়ান গ্রামে তার পরিবারের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য হচ্ছিল, তখন স্থানীয় লস্কর-ই-তৈবা কম্যান্ডার রিজওয়ান হানিফ তাঁর সঙ্গী-সাথী এবং বন্দুক নিয়ে উপস্থিত হয়।

নয়া দিল্লি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় হাত ছিল পাকিস্তানের। তা এখন জলের মতো স্পষ্ট। মুখে বারবার অস্বীকার করলেও, আরও একবার পর্দাফাঁস হয়ে গেল পাকিস্তানের অপকর্মের। নিহত জঙ্গি হাবিব তাহিরের শেষকৃত্যে তুলকালাম। ঘটল লজ্জাজনক ঘটনা।
অপারেশন মহাদেবে নিকেশ করা হয়েছে পহেলগাঁওতে হামলা চালানো তিন জঙ্গিকে। তার মধ্যেই একজন হাবিব তাহির। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আর এতেই আরও একবার প্রমাণ হল যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় মদত ছিল পাকিস্তানেরই। এক আগে অপারেশন সিঁদুরে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের শেষকৃত্যেও চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছিল পাক সেনাকে।
তবে হাবিবের শেষকৃত্যে এমন ঘটনা ঘটল, যা আগে কখনও ঘটেনি। ৩০ জুলাই যখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কুইয়ান গ্রামে তার পরিবারের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য হচ্ছিল, তখন স্থানীয় লস্কর-ই-তৈবা কম্যান্ডার রিজওয়ান হানিফ তাঁর সঙ্গী-সাথী এবং বন্দুক নিয়ে উপস্থিত হয়। এই নিজওয়ান ভারতে জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ করে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যুবদের মগজ ধোলাই করে তাদের জঙ্গি নিযুক্ত করে।
হাবিব তাহিরের পরিবার চায়নি লস্করের কেউ তাঁদের ছেলের শেষকৃত্যে আসুক। আগেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাও হানিফ আসায় বিরক্ত হন সকলে। এর মধ্যেই হানিফের ভাইপো স্থানীয় বাসিন্দাদের বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেন। আগুনে যেন ঘৃতাহুতি হয় এতে। তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে সকলে। চরম বচসা, বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষে লস্কর কম্যান্ডার তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক নেতার দাবি, হানিফ ও সঙ্গীসাথীদের জুতোপেটা করে তাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট হামলা চালিয়েছিল পহেলগাঁওতে। আর এই হাবিব জঙ্গি প্রশিক্ষণ পেয়েছিল সরাসরি লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকেই।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার কম্যান্ডারের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের ফুঁসে ওঠার ঘটনা কিন্তু প্রথম নয়। সম্প্রতিই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিকবার পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ মিছিল হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী পাকিস্তানি পুলিশও এখন জঙ্গিদের আয়োজিত সভা অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে নীরব দর্শক না থেকে।

