NEET Row: কীভাবে হয়েছিল নিটের প্রশ্নফাঁস? পরীক্ষাকেন্দ্রের স্ট্রংরুমে কীভাবে ঢুকলেন ‘মাস্টারমাইন্ড’? সব ফাঁস করল CBI

NEET Row: পরীক্ষাকেন্দ্রের স্ট্রংরুমের সামনের দরজায় তালা দেওয়া। তারপরও ভিতরে ঢুকলেন 'মাস্টারমাইন্ড'। কীভাবে সম্ভব হল? সুপ্রিম কোর্টে সব জানাল সিবিআই।

NEET Row: কীভাবে হয়েছিল নিটের প্রশ্নফাঁস?  পরীক্ষাকেন্দ্রের স্ট্রংরুমে কীভাবে ঢুকলেন 'মাস্টারমাইন্ড'? সব ফাঁস করল CBI
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jul 23, 2024 | 5:41 PM

নয়াদিল্লি: নিট ইস্যুতে দেশজুড়ে শোরগোল। এমনকি, সংসদেও সরব হয়েছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু, নিটের প্রশ্নফাঁস হল কীভাবে? বারবার উঠছে এই প্রশ্ন। সেই প্রশ্নেরই জবাব এবার সুপ্রিম কোর্টে জানাল সিবিআই। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে সিবিআই জানাল, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। কীভাবে হল প্রশ্নফাঁস? সেই ঘটনাও এদিন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সুপ্রিম কোর্টে এদিন সিবিআই জানায়, পরীক্ষার দিনই হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুল থেকে নিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়। সিবিআই জানিয়েছে, ওই স্কুলে নিটের পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল। সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়। স্কুলের প্রিন্সিপাল এহসানুল হক ও পরীক্ষাকেন্দ্রের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আলমকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁরা এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। অভিযুক্ত দু’জনেই অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কীভাবে হয়েছে প্রশ্নফাঁস?

এদিন সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই জানায়, “টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁস করেছেন এহসানুল হক ও ইমতিয়াজ আলম। আমাদের কাছে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, প্রশ্নফাঁসে মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য ওই স্কুলের স্ট্রংরুমে ঢুকেছিলেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের স্ট্রংরুমের সামনে দরজায় তালা দেওয়া ছিল। যার চাবি ছিল সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে। কিন্তু, স্ট্রংরুমে ঢোকার জন্য পিছনে একটা ছোট দরজা রয়েছে। যেটা ইচ্ছাকৃতভাবে দুই অভিযুক্ত খুলে রেখেছিলেন। পঙ্কজ কুমার সকাল ৭টা ১২ মিনিটে স্কুলের ক্যাম্পাসে ঢোকেন। স্ট্রংরুমের পার্শ্ববর্তী স্টাফরুমে অপেক্ষা করেন। ৭টা ৫৩ মিনিটে স্ট্রংরুমের সামনের দরজায় তালা দেওয়া হয়। সকাল ৮টা ২ মিনিটে পিছনের ছোটো দরজা দিয়ে স্ট্রংরুমে ঢোকেন পঙ্কজ। ৯টা ২৩ মিনিটে স্ট্রংরুম থেকে বেরিয়ে যান।”

সিবিআই জানায়, স্ট্রংরুমে ঢুকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে একজনকে পাঠান পঙ্কজ। ওই ব্যক্তি সলভার গ্যাংয়ের কাছে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেন। সলভার গ্যাং দ্রুত প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে ফেলে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কতগুলি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল? সিবিআই জানায়, তারা এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে, বিহার ও পটনার চার জায়গায় উত্তরপত্র পাঠানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “প্রশ্নফাঁসের জেরে ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী লাভবান হয়েছেন। তার মধ্যে ৩০ জন পটনার এবং ১২৫ জন হাজারিবাগের।”

চিকিৎসকের পেশায় প্রবেশের প্রথম ধাপ হল নিট পরীক্ষা। নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে পড়া যায়। চলতি বছরে নিট পরীক্ষা হয়েছিল গত ৫ মে। প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দেন। ফল প্রকাশ করা হয় গত ৪ জুন। তারপর থেকে নিট পরীক্ষা ঘিরে একের পর এক বিতর্ক বাধে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই।