নয়া দিল্লি: পার্শ্ব শিক্ষক প্রভিডেন্ট ফান্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য সরকারকে। বুধবার (২ নভেম্বর) রাজ্যের মোট ৫৬,০০০ পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই অবিলম্বে পিএফ দিতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি ঋষীকেশ রায়ের বেঞ্চ। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টেও জয় পেয়েছিলেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের সকল পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিতে হবে বলে আন্দোলন করছে পার্শ্বশিক্ষক সমন্বয় সমিতি। তাদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করার পরেও তারা কেউই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাচ্ছেন না। অনেকে অবসরও নিয়েছেন। এই অবস্থায় আন্দোলনকারী রাজ্যের ৫৬,০০০ পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকার পক্ষ থেকে পিএফ-এর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল।
প্রথমে মামলা ছিল সিঙ্গল বেঞ্চে জয় পেয়েছিলেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। সেই রায় ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেছিল সরকার। সেখানেও জয় পান পার্শ্ব শিক্ষকরা। তবে, এরপর ৪ মাস কেটে গেলেও, রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের নির্দেশ মানার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। এরপর, আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। এদিন অবশ্য সেখানেও ধাক্কা খেল রাজ্য।
পার্শ শিক্ষকদের সংগঠন ‘রাজ্য পার্শ্ব শিক্ষক সমন্বয় সমিতি’র পক্ষ থেকে এক ফেসবুক লাইভে বলা হয়, “আমরা কাঙ্খিত জয়কে ছিনিয়ে এনেছি। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের যে আশা, শেষ করে দিয়েছি আমরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ১৬ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে আদালতের নির্দেশ প্রয়োগ করে সেই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল। সেই বিষয় নিয়ে ১৬ তারিখ ফের শুনানি হবে হাইকোর্টে।” এই রায় শুধু পশ্চিমবঙ্গের পক্ষেই নয়, সমগ্র দেশের পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রেক্ষিতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রায় বলে মনে করা হচ্ছে। পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি, ‘সামাজিক সুরক্ষা আইন’ অনুযায়ী, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ তাঁদের মৌলিক অধিকার।