লোকসভায় বক্তব্য রাখছেন রাহুল গান্ধী
নয়া দিল্লি: আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে গতকাল উত্তপ্ত হয়েছিল সংসদের উভয় কক্ষই। এই ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে বিরোধীরা এককাট্টা হয়েছে। গতকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না, বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল। সেখানে যোগদান করে তৃণমূলও। গতকাল রাজ্যসভা ও লোকসভার মুলতুবির পর আজ সকাল ১১ টা থেকে ফের সংসদের অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। আজকের সংসদের অধিবেশন সম্বন্ধে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট জেনে নিন-
- প্রধানমন্ত্রীকে রাহুলে্র প্রশ্ন – প্রধানমন্ত্রী এবং আদানি কতবার একসঙ্গে বিদেশ সফর করেছেন? কতবার প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরই সেই দেশে পা পড়েছে আদানির? কতবার সেই দেশের সঙ্গে আদানির চুক্তি হয়েছে? গত ২০ বছরে আদানি বিজেপিকে কত টাকা দিয়েছেন? ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা দিয়েছেন?
- সর্বশেষ কেন্দ্রীয় বাজেটেও আদানিকে সাহায্য করা হয়েছে। ২০২২-এ আদানি ঘোষণা করেন, তিনি গ্রিন হাইড্রোজেন সেক্টরে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন। চলতি বাজেটে এই খাতে সরকার ১৯,৭০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে।
- এই শেল কোম্পানি কাদের, তারা কাদের টাকা পাঠায়, এই বিষয়ে তদন্ত করা উচিত ভারত সরকারের। এটা দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন
- হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে মরিশাসে আদানির শেল কোম্পানি আছে। তারা ভারতে টাকা পাঠায়, কাকে পাঠায়?
- যাত্রায় আমায় প্রশ্ন করা হয় এলআইসির টাকা কেন আদানির শেয়ারে খাটানো হচ্ছে?
- এটা ভারতের বিদেশ নীতি নয়, আদানির বিদেশ নীতি
- ২০২২-এর জুনে শ্রীলঙ্কার ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ তাঁকে বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী উইন্ড পাওয়ারের চুক্তি আদানিকে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন
- প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পরই, সেই দেশের ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ড আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের জন্য ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চুক্তি স্বাক্ষর করে
- এরপর প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পরই, আদানিকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় এসবিআই
- রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন বিজেপির, তাদের নিরস্ত্র করলেন স্পিকার ওম বিড়লা
- শুধু ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রেই নয়, প্রতিরক্ষা খাতে ইজরাইলের সঙ্গে ভারতের পুরো সম্পর্কই এখন আদানির করায়ত্ব
- এই ক্ষেত্র আদানির কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। তিনি কোনওদিন ড্রোন তৈরি করেননি। হ্যাল-সহ দেশের একাধিক সংস্থা তৈরি করেছে। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর ইজরাইল সফরের পরই ড্রোন তৈরির বরাত পেয়েছিল আদানি গোষ্ঠী
- প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আদানিদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে সরকার
- আদানির জন্য বিমানবন্দর অধিগ্রহনের নিয়মও বদলানো হয়েছে। নিয়ম বদলে মুম্বই বিমান বন্দর তুলে দেওয়া হল গৌতম আদানির হাতে। এখন বিমান বন্দর খাতের ৩০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে আদানি
- আসল খেলা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর
- ভাইব্র্যান্ট গুজরাটের ভাবনা মোদীকে দিয়েছিলেন আদানিই
- আদানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল যখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন
- মানুষ জানতে চাইছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির কী সম্পর্ক?
- ২০১৪ সালে আদানির সম্পত্তি ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২২-এ ১৪০ বিলিয়ন হয়েছে। মানুষ জানতে চাইছে কীভাবে এটা হল? কীভাবে তাঁর সম্পত্তি এত বেড়ে গেল?
- সংসদে বক্তব্য রাখছেন রাহুল গান্ধী
- আজ সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাম সাংসদরা। কেন্দ্রীয় বাজেটে কেরলের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তাঁরা বিক্ষোভ করছেন।
- জন্তর মন্তরে এলআইসি অফিসের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্না প্রদর্শন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, সৌগত রায় ও শান্তনু সেন সহ অন্যান্য সাংসদরা। সকলের গলাতেই ছিল কালো কাপড় বাঁধা।
-
আদানি ইস্যুতে ফের উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরেই দুপুর ১২ টা পর্যন্ত লোকসভার কার্যক্রম মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা আজ ফের আদানির স্টক নিয়ে আলোচনা ও জেপিসির দাবি তোলেন।
- বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক চলছে। ২০২৩-র বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে অভিনন্দন জানালেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।
- বাজেট অধিবেশনে আজ অনুষ্ঠিত হল বিজেপির প্রথম সংসদীয় দলের বৈঠক। বৈঠকে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বাজেট নিয়ে সাংসদদের নতুন ফর্মুলা দিতে পারেন মোদী।
- সূত্রের খবর, আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি।
- সংসদে কালো ব্যান্ড পরে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিবাদ কর্মসূচি।
- কংগ্রেস সূত্রে জানা যাচ্ছে, সংসদীয় আলোচনায় আপ ছাড়া সব দল অংশগ্রহণ করছে।
- আজও আদানি ইস্যুতে সংসদ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তৃণমল সাংসদ সৌগত রায়ও লোকসভায় আদানি ইস্যুতে মুলতবি প্রস্তাব দিয়েছেন।
- আদানি ইস্যুতে বিশদে আলোচনা চেয়ে লোকসভায় মুলতবি প্রস্তাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি।
- কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটারে লিখেছেন, “স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে সকাল ১০ টায় বৈঠকে বসেছেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত আদানি মহামেগাস্ক্যামে জেপিসির দাবি উত্থাপন করতে বিরোধীদের অনুমতি না দেওয়ায় সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিরোধী দল চায় সংসদ কাজ করুক, কিন্তু মোদী সরকার ভয় পাচ্ছে!”