নয়া দিল্লি: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সংসদে পাস হল জাতীয় ডোপিং বিরোধী বিল। বুধবার রাজ্যসভায় এই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার আলোচনার পর এই বিল ধ্বনিভোটে পাস হয়। আগেই, গত ২৮ জুলাই লোকসভাতেও ধ্বনিভোটের মাধ্যমে এই বিল পাস করা হয়েছিল। সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাস হয়ে যাওয়ায় এবার শুধু রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষা। তারপরই আইনে পরিণত হবে এই বিল। ক্রীড়া জগতকে আরও উন্নত ও মজবুত করার লক্ষ্যেই এই বিল তৈরি করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থার কাজের পরিকাঠামো তৈরি করে দিতে এবং দেশে ডোপ টেস্টিংয়ের ল্য়াবরেটরির সংখ্য়া বাড়ানোর জন্যই এই বিল তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “দেশে ক্রীড়াবান্ধব ও খেলোয়াড়দের জন্য সহযোগী পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যেই এই বিলটি আনা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশের খেলোয়াড়রা অংশ নিতে আসছেন। ক্রীড়া বিভাগকে আরও মজবুত করে তুলতেই ডোপ টেস্টের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় ডোপ টেস্টিং হয়। বছরে মাত্র ৬ হাজার ডোপ পরীক্ষা করা হয় সেখানে। এই বিল আইনে পরিণত হলে ডোপ পরীক্ষার সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।”
তিনি বলেন, “যেহেতু বর্তমানে আমরা বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি, সেখানে মাসে ১০ হাজার ডোপ টেস্টের প্রয়োজন পড়তে পারে। বর্তমানে ১৬ দেশের নমুনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতও আমেরিকা, চিন, জাপান ও ফ্রান্সের মতো দেশের সঙ্গে একই তালিকায় থাকবে, যাদের ক্রীড়াজগতে ডোপিং পরীক্ষার জন্য নিজস্ব আইন রয়েছে।”
রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ তথা প্রখ্য়াত ক্রীড়াবিদ পিটি উষাও সংসদে তাঁর প্রথম বক্তব্য় রাখেন এই বিল প্রসঙ্গেই। তিনি বলেন, “সমস্ত প্রতিযোগিতাকেই জাতীয় ডোপিং বিরোধী এজেন্সি বা নাডার অধীনে আনা উচিত। স্পোর্টস মেডিসিন ও বিজ্ঞানের উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া উচিত, যাতে খেলোয়াড়দের চোট থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য হয়।”