Parliament Security Breach: ‘প্রধানমন্ত্রী নিখোঁজ’, সংসদে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল প্যাম্পফ্লেট

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 15, 2023 | 8:28 AM

Parliament Security Breach: আদালতে দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, লোকসভায় প্রবেশ করেছিল যে দুইজন, সেই সাগর এবং মনোরঞ্জনের কাছে কিছু প্যাম্ফলেট ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওই প্যাম্পফ্লেটগুলি দিতে চেয়েছিল তারা। তবে, ঘটনার সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী।

Parliament Security Breach: প্রধানমন্ত্রী নিখোঁজ, সংসদে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল প্যাম্পফ্লেট
পুলিশের গাড়িতে অভিযুক্তরা
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: সংসদ ভবনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা, ‘সুপরিকল্পিত হামলা’। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এমনই বলেছে দিল্লি পুলিশ। আতঙ্ক সৃষ্টি করাই ‘হামলাকারীদের’ উদ্দেশ্য ছিল। এনআইএ-র মামলাগুলি দেখার জন্য নিযুক্ত বিশেষ বিচারক হরদীপ কওরের সামনে পেশ করা হয় সাগর শর্মা, ডি মনোরঞ্জন, নীলম দেবী এবং অমল শিন্ডে-কে। পুলিশ তাদের ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। তবে, বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চারজনের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ, অর্থাৎ, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে।

আদালতে দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, লোকসভায় প্রবেশ করেছিল যে দুইজন, সেই সাগর এবং মনোরঢ্জনের কাছে কিছু প্যাম্ফলেট ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওই প্যাম্পফ্লেটগুলি দিতে চেয়েছিল তারা। তবে, ঘটনার সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেই সময় মধ্য প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন। কী লেখা ছিল সেই প্যাম্ফলেটে? প্যাম্ফলেটে প্রধানমন্ত্রীকে ‘নিখোঁজ’ বলে দাবি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, কেউ তাঁকে খুঁজে দিতে পারলে, তাকে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে নগদ পুরষ্কার দেওয়া হবে।

এছাড়া পুলিশ জানিয়েছে, লখনউ থেকে তারা বিশেষ জুতো বানিয়েছিল। ওই জুতোর মধ্যে ফাঁক ছিল। যার মধ্যে ধোঁয়ার ক্যানিস্টারগুলি লুকিয়ে নিয়ে তারা সংসদে প্রবেশ করেছিল। পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, ওই জুতোগুলি নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। অভিযুক্তদের লখনউ, মুম্বই এবং মাইসুরুতে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের মতে, এই হামলায় সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। কারণ, এই ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা মাত্র এই কয়েক জনে সম্ভব নয়।

তবে, সবথেকে যে বিষয়টি পুলিশ এবং বলতে গেলে সকলকেই ভাবাচ্ছে, তা হল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য। কেন এই ধোঁয়া ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হল? আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য এখনও পর্যন্ত অস্পষ্টই রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া চারজন পুলিশকে জানিয়েছে, তারা বেকারত্ব এবং মণিপুরের জাতিগত হিংসার মতো বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিল। সেগুলি নিয়ে সাংসদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল। সংসদের বাইরে থাকা অমল এবং নীলমকে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল। তবে, পুলিশ মনে করছে হেফাজতে রেখে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তবেই তাদের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ পেতে পারে।

Next Article