Rape victim’s protest: ৬ দিন ধরে চার জন গণধর্ষণ করেছে! বিচার চেয়ে ধর্নায় দলিত নাবালিকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jun 02, 2022 | 12:31 PM

Uttar Prdaesh: অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরানোয় ভয়ে স্কুল যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন নির্যাতিতা নাবালিকা। ডিপ্রেশনেও চলে যায় সে। তারপরই বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা ও গ্রামের লোক জন কালেক্টরেট অফিসের সামনে এসে প্রতিবাদ করে  ধর্নায় বসে।

Rape victims protest: ৬ দিন ধরে চার জন গণধর্ষণ করেছে! বিচার চেয়ে ধর্নায় দলিত নাবালিকা
(প্রতীকী ছবি)

Follow Us

মোরাদাবাদ: গণধর্ষণের ৫০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তরা এখনও সকলে ধরা পড়েনি। শুরুতে পুলিশ অভিযোগ নিতেও গড়িমসি করেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু পরে চাপের মুখে অভিযোগ নথিভুক্ত করে। নির্যাতিতা ও তাঁর গ্রামের লোকেরা বিচার চান। তাই কালেক্টরেট অফিসের সামনে মঙ্গলবার ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে ঘটেছে এই ঘটনা। নির্যাতিতা কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। নাবালিকা কিশোরী দলিতও বটে। তাকে অপহরণ করে ৪ জন ৬ দিন ধরে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ নির্যাতিতা ও তার গ্রামের বাসিন্দাদের।

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এখনও অবধি ১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, সম্ভল জেলায় বাড়ি ওই দলিত কিশোরীর। বাবার সঙ্গে মেলা দেখতে ৯ এপ্রিল মোরাদাবাদে এসেছিল সে। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। তাঁকে অপরহণ করা হয়েচিল বলে অভিযোগ। ১৫ এপ্রিল তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ৬ দিন ধরে ৪ জন তাকে নাগাড়ে গণধর্ষণ করেচিল বলে অভিযোগ করেছিলেন কিশোরীর। তার পরও অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেরানোয় ভয়ে স্কুল যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন নির্যাতিতা নাবালিকা। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে সে। তারপরই বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা ও গ্রামের লোক জন কালেক্টরেট অফিসের সামনে এসে প্রতিবাদ করে  ধর্নায় বসে। নির্যাতিতা বলেছেন, “মেলায় মহম্মদ শামিম, মহম্মদ আবিদ সহ ২ জন আমাকে খাবার দিয়েছিল। তা খেয়ে আমি জ্ঞান হারায়। তখন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ৬ দিন ধরে আমার উপর অত্যাচার চালায়। সেখানে আমাকে এক ধরনের ইঞ্জেকশনও দেওয়া হত। আমি কোনও মতে আসি সেখান থেকে চলে আসি। কিন্তু পুলিশ আমার বয়ান বদলে দেয়। তিন অভিযুক্ত এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি ওদের মৃত্যুদণ্ড চাই।”

ঘটনা নিয়ে মহেশ চন্দ্র গৌতম নামের এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, “আমি মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেছি। কথা বলেছি। আশ্বাস পেয়ে ধর্না তুলে নিয়েছেন তাঁরা।“

Next Article