পটনা: কেউ একে অপরকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন। কেউ আবার গুরুজনের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। এ যেন এক বড় সুখী পরিবারের ছবি। পটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে এমনই ছবি ধরা পড়ল বারবার। কখনও রাহুল গান্ধীকে জড়িয়ে ধরলেন লালু প্রসাদ যাদব। কখনও আবার লালু-নীতীশের মশকরায় সামিল হলেন সীতরাম ইয়েচুরি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন রুপে। কখনও তিনি নীতীশ কুমারের সামনে হাতজোড় করে সৌজন্য প্রকাশ করলেন, কখনও আবার রাহুলের পিঠে হাত দিয়ে কিছু একটা বোঝালেন। বিজেপি বিরোধী সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের সেই চিত্রই দেখে নিন-
বৃহস্পতিবারই পটনায় এসে পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পটনায় পৌঁছেই তিনি দেখা করেন প্রবীণ আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন মমতা।
সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও পিসির দেখাদেখি লালু প্রসাদ যাদবের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। অভিষেকের পিঠ চাপড়ে দেন লালু। ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই চিত্র।
শুক্রবার বৈঠকের পৌরহিত্য করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বৈঠকে পৌঁছতেই তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান নীতীশ কুমার।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আসতেই তাঁকে হাসি মুখে জড়িয়ে ধরেন লালু প্রসাদ যাদব।
আলিঙ্গনরত অবস্থাতেই তাঁদের বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতেও দেখা যায়।
রাহুলের সঙ্গে হাসি মুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন নীতীশ কুমারও।
বৈঠকের শুরুতে যখন নেতারা নিজেদের আসনে বসতে শুরু করেন, তখন তাঁদের সামনে গিয়ে সৌজন্য প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে ‘ভাই’ বলে সম্মোধন করেন তিনি।
বৈঠকের মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাহুল গান্ধীর কাঁধে হাত রেখে কিছু বোঝাতেও দেখা যায়। পাশে তখন বসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
বৈঠকে পাশাপাশি বসেছিলেন বিহারের দুই দাপুটে নেতা লালু প্রসাদ যাদব ও নীতীশ কুমার। হাসিমুখে তাঁদের কিছু একটা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। সেই মজায় অংশ নেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও।