
বারাণসী: বারাণসী: হিন্দু-মুসলিমের সংকীর্ণ রাজনীতি করেননি তিনি। মঙ্গলবার (১৪ মে), বারাণসীতে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশের পর, এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেছেন, যেদিন তিনি তা করবেন, সেইদিন আর তিনি সর্বজনিক জীবনে থাকার যোগ্য থাকবেন না। সম্প্রতি, নির্বাচনী প্রচারে তিনি দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ধনের পূনর্বন্টন করবে। সাধারণ মানুষের ধন-দৌলত নিয়ে, তা, ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘যাদের বেশি সন্তান হয়’, তাদের মধ্যে বন্টন করবে বলে সতর্ক করেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই মন্তব্য এক বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি অবমাননাকর। কিন্তু, নেটওয়ার্ক ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ওই মন্তব্যের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেছেন, ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘যাদের বেশি সন্তান হয়’ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি মুসলিমদের কথা বলতে চাননি। তাহলে কাদের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?
নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনি শুধুমাত্র মুসলমানদের কথা বলেননি, তিনি প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের কথা বলেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি ভোট ব্যাঙ্কের জন্য কাজ করেন না। তিনি মুসলমানদের প্রতি ভালবাসার মার্কেটিং করেন না। তিনি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশে’ বিশ্বাসী। হিন্দু-মুসলিম করা শুরু করলে তিনি আর সর্বজনীন জীবনে থাকার যোগ্য থাকবেন না। তিনি বলেন, “আমি অবাক। আপনাদের কে বলেছে, যখনই কেউ বেশি বাচ্চা নিয়ে কথা বলে, তখনই সে মুসলমানদের কথা বলে? কেন আপনারা মুসলমানদের প্রতি এত অবিচার করছেন? দরিদ্র পরিবারগুলিরও একই অবস্থা। সামাজিক বৃত্ত নির্বিশেষে যেখানে দারিদ্র আছে, সেখানেই বেশি সন্তান হয়। আমি বলেছি, যার যতগুলি সন্তানের যত্ন নেওয়ার ক্ষমতা আছে, তার ততগুলিই সন্তান নেওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত নয়, যেখানে আপনার সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হয় সরকারকে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিবেশিরা সকলে মুসলিম ছিলেন বলে, ইসলাম ধর্মের সমস্ত আচার-আচরণ সম্পর্কে তিনি জানেন। তাঁর মতে, গুজরাটে গোধরা-পরবর্তী হিংসার পর, মুসলমানদের মধ্যে তাঁর ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছিল বিরোধীরা। মোদী বলেন, “আমার বাড়ির চারপাশে সমস্ত মুসলিম পরিবার ছিল। আমাদের বাড়িতেও ইদ পালন করা হত। আমাদের বাড়িতে ইদের দিন রান্না হত না। মুসলিম প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খাবার আসত। মহরমের সময় আমরা জানতাম বাড়ি থেকে বের হলে আমাদের তাজিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমি এই সমাজে বড় হয়েছি। এমনকি আমার অনেক বন্ধু মুসলিম। আমি এর বিজ্ঞাপন দিতে চাই না।”