ইটানগর: প্রতীক্ষার অবসান! অরুণাচল প্রদেশে প্রথম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। আর বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেই বিরোধীদের একহাত নিলেন তিনি। প্রায় ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দ্যোনি পোলো’ নামে এই বিমানবন্দরের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটবে এবং পর্যটন ক্ষেত্র সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি ঘটবে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।
জানা গিয়েছে, পূর্ব সূচি অনুযায়ী শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে দ্যোনি পোলো বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অরুণাচল প্রদেশের প্রথম গ্রিনফিল্ড এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিমানবন্দর নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “এই উন্নয়নের সঙ্গে ভোট, রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় অরুণাচল প্রদেশের প্রথম গ্রিনফিল্ড দ্যোনি পোলো বিমানবন্দরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিমানবন্দরটি চালু না হওয়ায় জোর সমালোচনা শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। ভোট-রাজনীতির জন্যই এই বিমানবন্দরের শিলান্যাস করা হয়েছে বলে তোপ দেগেছিলেন বিরোধীরা। এদিন বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সেই সমালোচনার জবাব দিলেন। এদিন দ্যোনি পোলো বিমানবন্দরের পাশাপাশি ৬০০ মেগাওয়াটের কামেং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রায় ৮ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যেমন অরুণাচলের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে বিশেষ সাহায্য করবে, তেমনই গোটা দেশ উপকৃত হবে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।
এদিন ইটানগরে বিমানবন্দর ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনের পরই প্রধানমন্ত্রী সরাসরি চলে যান উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। সেখানে ‘কাশী-তামিল সঙ্গম’ অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন নরেন্দ্র মোদী। মূলত, দেশের দুই অন্যতম প্রাচীন কেন্দ্র, তামিলনাড়ু এবং কাশীর মধ্যে প্রাচীন মেলবন্ধন উদযাপন, সুনিশ্চিত এবং পুনরাবিষ্কার করতে কাশী-তামিল সঙ্গম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী একমাস ধরে কাশী এবং তামিলনাড়ুর ঐতিহ্য, সংস্কৃতির উপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সেমিনার হবে। দুই অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তি সহ ছাত্র, দার্শনিক, ব্যবসায়ী, শিল্পীরাও এই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। তামিলনাড়ু থেকে ২৫০০-এর বেশি প্রতিনিধি কাশী সফরে আসবেন। দেশের দুই শীর্ষস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইআইটি মাদ্রাজ এবং বিশ্ব হিন্দু ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। এছাড়া দুই অঞ্চলের শিল্পীদের হাতে তৈরি শিল্পকলা সহ এলাকার ইতিহাস, পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে লেখা বইয়ের প্রদর্শনীও করা হবে।