নয়াদিল্লি: জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জাপান উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সন্ধ্যায় জাপানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে এ কথা। এ বছর জুলাই মাসে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলা চালায় এক আততায়ী। সেই হামলার জেরে মৃত্যু হয় আবের। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় টোকিয়োর নিপ্পন বুদোকান ইন্ডোর এরিনায় আবের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
মোদী ছাড়াও প্রাক্তন জাপান প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবের ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা শীর্ষ সরকারি আধিকারিকরা। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীরাও উপস্থিত থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। এর পাশাপাশি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চিন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
জাপানের টোকিয়োয় গিয়ে আকসারা প্যালেস (রাষ্ট্রীয় গেস্ট হাউস)-এ থাকবেন মোদী। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন। এ নিয়ে এ বছর মোট তিন বার বৈঠকে বসবেন ভারত ও জাপানের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। মোদীর সফর নিয়ে বিদেশ সচিব বিনয় কারতা জানিয়েছেন, কিশিদা ছাড়া আর কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন না মোদী। জাপানের টোকিয়োতে মোদী থাকবেন মাত্র ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা। তবে জাপান প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে ব্যাপারে কিছু জানাতে রাজি হননি বিদেশ সচিব। ২০১৭ সালে শিনজো আবের ভারত সফরের সময় মুম্বই–আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই প্রকল্পের রূপায়নের দেরি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
তবে ধুমধাম করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে জাপানে। সে দেশের স্থানীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিপুল খরচে এই অনুষ্ঠান করার পক্ষপাতী নন ৬২ শতাংশ জাপানবাসী।