সিমলা : নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে। সেই উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক দলগুলি কোমর ময়দানে নেমে পড়েছে। শনিবার সেই উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের রাজ্যে পা রাখার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে সশরীরে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে ভার্চুয়ালিই করলেন সভা। আর বিজেপির হয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ‘হিমাচল প্রদেশের যুবদের দক্ষতা ও উৎসাহে দেশ উপকৃত হচ্ছে।’
শনিবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডির প্য়াডাল ময়দানে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (BJYM) যুব বিজয় সঙ্কল্প সমাবেশের আয়োজন করেছিল। সেখানেই ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদী বলেছেন, ‘খেলা হোক বা শিল্পকলা সবক্ষেত্রে হিমাচল প্রদেশের যুবদের উদ্দীপনা, দক্ষতা দেশকে উপকৃত করছে। বিজেপির অগ্রাধিকরা হল তাঁদের আরও উৎসাহ দেওয়া।’ এদিকে হিমাচল প্রদেশের পর্যটনের প্রশংসা করে তিনি দাবি করেছেন, সেখানে বিজেপি সরকার পর্যটকদের জন্য ই-ভিসার সুবিধা শুরু করেছে। এবং কোভিডের সময় পর্যটনের যে ক্ষতি হয়েছিল সেই ক্ষতি সামলে মারণ রোগের শৃঙ্খল থেকে পর্যটনকে বের করে আনতে প্রচেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি সরকার হিমাচল প্রদেশের জাতীয় সড়কের জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রাজ্যের সীমানার কাছাকাছি এলাকায় উন্নয়নশীল গ্রামগুলিতে রোপওয়ে পরিষেবা সুবিধা নিয়ে এসেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে বসবাসকারী হাট্টি সম্প্রদায়কে উপজাতীয় মর্যাদা দিয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হাট্টি সম্প্রদায়কে উপজাতি মর্যাদা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে। এই পদক্ষেপে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলে হাত আরও শক্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ হিমাচল প্রদেশের বড় সংখ্যক আসনে হাট্টি সম্প্রদায়ের প্রভাব রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন নমোর ভার্চুয়াল ভাষণের পরই হিমাচল প্রদেশে বিজেপির নির্বাচনী দামামা এক প্রকার বেজেই গেল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি যুব এদিম সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। এদিকে হিমাচল প্রদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা হল মান্ডি। আপাতত রাজনীতির কেন্দ্রে এই জেলা। বিজেপির মতো আম আদমি পার্টিও নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে এই মান্ডিকেই বেছে নিয়েছিল। এবার বিজেপিও ময়দানে নেমে পড়ল।