সিমলা: কেন্দ্রের বিজেপি সরকারে ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘গরিব কল্যাণ সম্মেলনে’ অংশ নিতে, মঙ্গলবার (৩১ মে) হিমাচল প্রদেশের সিমলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিমলার মল রোডে এক রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য রাস্তার দুই ধারে মানুষের ঢল নেমেছিল। তার মধ্যেই এদিন আচমকাই গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন মোদী। আসলে গাড়ি থেকেই তাঁর চোখে পড়েছিল রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণীর দিকে। সেই তরুণীর কিশোরীর হাতে ছিল একটি ছবি। সেই ছবি দেখেই সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামানোর কথা বলেছিলেন মোদী। ছবিটি তাঁর মা হীরাবেনের।
মায়ের ছবি চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকির তোয়াক্কা না করেই তিনি এগিয়ে যান ওই কিশোরীর দিকে। তাঁর হাত থেকে চিত্রকর্মটি গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী। কিশোরীর মাথায় বুলিয়ে দেন স্নেহের হাত। মেয়েটি নিরাপত্তার বেড়ার ওইপার থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। কিশোরী জানান, তিনি সিমলাতেই থাকে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানতে চান, ছবিটি কি তাঁরই হাতে আঁকা? কত সময় লেগেছে? মেয়েটি জানান, ছবিটি তিনিই এঁকেছেন, মাত্র এক দিনে। ওই কিশোরী প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীরও একটি ছবি এঁকেছেন তিনি। সেই ছবিটি জেলা পুলিশ কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেন।
PM @narendramodi stopped his car to accept a painting by a girl in Shimla #8YearsOfGaribKalyan pic.twitter.com/eN8XtLWhSp
— DD News (@DDNewslive) May 31, 2022
রোড শো-এর পর, সিমলার রিজ ময়দানের ‘গরিব কল্যাণ সম্মেলনে’ যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর সরকার, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা থেকে নয় কোটি ভুয়ো নাম বাতিল করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, ভারতের সীমান্ত ২০১৪ সালের তুলনায় এখন আরও বেশি সুরক্ষিত। কোভিড মহামারী মোকাবিলার ক্ষেত্রেও তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের ‘বাড্ডি শিল্পকেন্দ্র’ টিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সিমলা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বেশ কয়েকজন সরকারী প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সঙ্গে আলোচনাও করেন। কর্ণাটকের কালবুর্গির এক মহিলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে বিজেপির হয়ে ভোট লড়ার প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্তোষী নামে ওই মহিলার মত প্রকাশের ধরনে মুগ্ধ হন নরেন্দ্র মোদী। এরপরই প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনি বিজেপি কর্মী হলে আপনাকে নির্বাচনে লড়ার কথা বলতাম’।