আহমেদাবাদ: মঙ্গলবার (১ নভেম্বর), গুজরাটের বিজেপি সরকারের চারপাশে সুরক্ষা কবচ তৈরির আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন গুজরাটের আদিবাসী অধ্যুষিত পঞ্চমহল জেলার জাম্বুঘোড়ায় তিনি ৮৫৮ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, গুজরাটে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের পথ চলা যাতে থেমে না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে ভোটারদের। তিনি বলেন, “যে গতিতে আমরা উন্নয়ন করছি, তাতে কাউকে বাধা দিতে দেওয়া যাবে না। আপনাদেরই আমাদের সুরক্ষা কবচ দিতে হবে। আমি মনে করি, বহু মহিলারা যাঁরা এখানে আমাদের আশীর্বাদ করতে এসেছেন, তাঁরাই আসন্ন নির্বাচনে আমাদের সুরক্ষা কবচ দেবেন।”
এদিন তিনি আদিবাসী অধ্যুসিত এলাকায় উন্নয়নের জন্য পর্যটনের উন্নয়নের উপর জোর দেন। তিনি জানান, সাপুতারা এবং স্ট্যাচু অব ইউনিটির মাধ্যমে ওই এলাকার পর্যটনের উন্নচি ঘটেছে। যা আদিবাসী সমাজের জীবনের মানোন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। তিনি আরও জানান, পর্যটন কর্মসংস্থানের ভিত্তি। তাই পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করতেই হবে। তিনি আরও বলেন, “আমি আপনার মধ্যেই ছিলাম, তাই আমি আপনাদের স্পন্দন অনুভব করতে পারি। আমি জানি কীভাবে আদিবাসীদের গর্বের জায়গাগুলিতে পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটানো যাবে।”
এদিন, জাম্বুঘোড়ায় আদিবাসী বিপ্লবীদের নামে নামাঙ্কিত দুটি স্কুলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজের কৌশল্যা দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোধরায় নিউ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি। মোদী দাবি করেন, ভবিষ্যতে উমরগাঁও থেকে অম্বাজি পর্যন্ত আদিবাসী বেল্টে মেডিক্যাল কলেজের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় আদিবাসী যুবদের ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন সফল করতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান পড়ার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ডাক্তারি পড়ার জন্য আর ইংরাজি ভাষা জানা আবশ্যক নয়।
তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি গুজরাটের ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত বৈষম্যমূলক মনোভাবের শিকার হয়েছিলেন আদিবাসীরা। দশকের পর দশক ধরে শহুরে এলাকা এবং আদিবাসী এলাকাগুলির মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন তাঁরা। অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃ-ত্বে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পরই দেশে প্রথম আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক গঠিত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।