নয়া দিল্লি: একদিকে জি-৭ সামিট, অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফর। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই, এক যাত্রাতেই জার্মানি ও আবু ধাবি সফর সেরে দেশে ফিরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই দেশের সফর মিলিয়ে তাঁর মোট সময় ব্যয় হয়েছে ৬০ ঘণ্টা। সময়ের পূর্ণ ব্যবহার ও সময় সাশ্রয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কতটা সচেতন, তার প্রমাণ আগেও পাওয়া গিয়েছে। এবার জি-৭ সামিটে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী ফের একবার দেখিয়ে দিলেন কীভাবে কম সময়েই যাবতীয় দায়িত্ব পালন ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ একসঙ্গেই সেড়ে ফেলা যায়।
করোনা পরবর্তীকালে জি-৭ সম্মেলনই সবথেকে বড় অনুষ্ঠান ছিল, যেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন। রবিবারই জার্মানিতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিশেষত্বই হল যে,তিনি কেবল রাতের বিমানেই যাতায়াত করেন। যেহেতু রাতে বিশেষ কোনও সম্মেলন থাকে না, সেই কারণে সময় সাশ্রয়ের জন্য রাতেই যাতায়াত পছন্দ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই জার্মানি সফর কর্মসূচিতে ঠাসা ছিল। তবুও কোনও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানই এড়িয়ে যাননি প্রধানমন্ত্রী। জি-৭ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েও কম সময়েই কীভাবে উন্নতির শিখরে পৌঁছনো যায়, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারত দ্রুত যেভাবে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে, তা নিয়েই আলোচনা করেন তিনি।
জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গেও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জার্মানি থেকে ভারতে ফেরার পথেই মাঝপথে আবু ধাবিতে যান প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসেই প্রয়াত হন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জ়ায়েদ আল নাহান। তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই আবু ধাবিতে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ। তাঁর এই সৌজন্যবোধে আপ্লুত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ভাই বলে সম্মোধন করেছেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে।
সফর শেষে মধ্যরাতে দিল্লিতে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, বুধবারও ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।