নয়া দিল্লি : ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতি (National Education Policy, 2020) নিয়ে এসেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তারপর থেকে প্রায় দুই বছর কেটে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে? কাজ কেমন এগোচ্ছে? সেই সবের বাস্তব চিত্র খতিয়ে দেখতে শনিবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জাতীয় শিক্ষা নীতির সুফল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সব পড়ুয়ারা স্কুল ছুট হয়ে গিয়েছিল, তাদের আবার পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতি। এর পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “অনেক রূপান্তরমূলক সংস্কার শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সংস্কারগুলি আমাদের দেশের অগ্রগতিকে নিশ্চিত করবে এবং আমাদের ‘অমৃত কাল’-এর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
এই নয়া শিক্ষা নীতি অনলাইন শিক্ষাকে এক নতুন দিগন্ত এনে দিয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ফুল টাইম অনলাইন কোর্স চালানোর সুবিধা পেয়েছে এবং অনলাইন কনটেন্টের অনুমোদিত সীমা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে হাইব্রিড মাধ্যমে শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “স্কুলের পড়ুয়ারা যাতে অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে যায়, তার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন শিক্ষার হাইব্রিড সিস্টেম তৈরি করা উচিত।” এর পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয় উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী মোদী পরামর্শ দিয়েছেন, যে সব মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি রয়েছে, সেগুলি তাদের এলাকার কৃষকদের সঙ্গে মাটি পরীক্ষার কাজে যুক্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকে জানানো হয় যে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির নির্দেশনায় জাতীয় পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কাজ চলছে।
এর পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ডেটাবেসের সঙ্গে স্কুলের রেকর্ডের সমন্বয় বজায় রাখার উপরেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, যেহেতু শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি থেকেই স্কুলে যায়, তাই এই সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে প্রযুক্তির সাহায্যে স্কুলে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের ধারণাগত দক্ষতা বিকাশের জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি খেলনা ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার কথা শনিবারের বৈঠকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।