নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিশক্তি প্রখর, এ কথা প্রায় সকলেরই জানা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই বিশেষ গুণের আবারও প্রমাণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টেলিপ্রম্পটার ছাড়াই দেড় ঘণ্টার বক্তৃতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাতে ছিল শুধুমাত্র কাগজের নোট। তাও সবসময় সেই কাগজের দিকেও তাকাতে হয়নি প্রধানমন্ত্রীকে। পুরনো পন্থায় ভরসা রেখেই তিনি কাগজের নোট দেখে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ পূর্তি হল আজ। এই দিনটিকে বিশেষ করতে তুলতে বিগত এক বছর ধরে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদির অমৃত মহোৎসব। এদিন লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা দিতে উঠলেও তাঁর সামনে দেখা যায়নি টেলিপ্রম্পটার। বরং তার বদলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছিল কাগজের নোট। সেদিকেও খুব বেশি তাকাননি তিনি। কারণ যেকোনও ভাষণেই নিজস্বতা বজায় রাখতেই পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই তিনি এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি টেলিপ্রম্পটার রাখেননি।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর পোশাকও কিছুটা আলাদা ছিল। প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর পোশাকে কিছু বিশেষত্ব থাকেই। কখনও গেরুয়া পোশাক, কখনও আবার কোনও রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পোশাক- নতুনত্বের ছোঁয়া থাকেই তাঁর পোশাকে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছিলেন যে অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তিনি পোশাক পরতে ভালবাসেন। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সাদা কুর্তা ও নীল রঙের ওয়েস্টকোট। মাথায় ছিল তিরঙ্গার রঙে রঞ্জিত পাগড়ি।
স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এমন একটা বছরও যায়নি যখন আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নৃশংস অত্যাচারের শিকার হতে হয়নি। আজকের দিনটা ওনাদের সম্মান জানানোর দিন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ন মনে রাখা উচিত। গান্ধীজী, ভগৎ সিং, রামপ্রসাদ বিসমিল, রানি লক্ষ্মীবাই, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীরাই নন, দেশের গণতন্ত্রের ভিত প্রতিষ্ঠার অন্যতম কাণ্ডারী জওহরলাল নেহরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দকেও শ্রদ্ধা জানাই।”