PM Modi: ‘দাসত্বের শৃঙ্খল এমনভাবে বেঁধে রেখেছে…’, দেশের ‘শেষ গ্রাম’ থেকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 21, 2022 | 3:01 PM

PM Narendra Modi in Uttarakhand: শুক্রবার (২১ অক্টোবর) উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে রাস্তা এবং রোপওয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

PM Modi: দাসত্বের শৃঙ্খল এমনভাবে বেঁধে রেখেছে..., দেশের শেষ গ্রাম থেকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী?
দেশের শেষ গ্রাম হিসেবে পরিচিত মানা গ্রামে জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদী

Follow Us

নয়া দিল্লি: শুক্রবার (২১ অক্টোবর) উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে রাস্তা এবং রোপওয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে উত্তরাখণ্ডে এদিন ৩,৪০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, “মানা গ্রামকে ভারতের শেষ গ্রাম বলে পরিচিত। কিন্তু এখন থেকে, সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত প্রত্যেক গ্রামকে ভারতের প্রথম গ্রাম হিসাবে বিবেচিত হব।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “দাসত্বের শৃঙ্খল আমাদের দেশকে এমনভাবে বেঁধে রেখেছে, একাংশের লোক উন্নয়নের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর আগে দেশে নিজেদের সংস্কৃতি নিয়ে হীনমন্যতা ছিল। কিন্তু এখন কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, হেমকুন্ড সাহিব, কাশী, উজ্জয়িনী, অযোধ্যার মতো ধর্মলস্থলগুলির অনুভব করা যাচ্ছে।”

গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ এবং গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুন্ড সাহিব – এদিন পাহাড়ি রাজ্যে দুটি নতুন রোপওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। এই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রোপওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ শুধুমাত্র এলাকাগুলির সংযোগের জন্য নয়, এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করবে।” কেদারনাথ-গৌরীকুন্ড রোপওয়ের দৈর্ঘ প্রায় ৯.৭ কিলোমিটার। আগে গৌরিকুন্ড থেকে কেদারনাথ যেতে সময় লাগত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। রোপওয়ে যোগে যাত্রার সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩০ মিনিট। অন্যদিকে গোবিন্দঘাটের সঙ্গে হেমকুন্ড সাহিবের সংযোগকারী রোপওয়েটি প্রায় ১২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। বর্তমানে এই পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে এক দিনেরও বেশি। রোপওয়েতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট।

এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধনের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পুজো দেন। তিনি আদি গুরু শঙ্করাচার্যের সমাধি স্থলও পরিদর্শন করেন। মন্দাকিনী আস্থাপথ এবং সরস্বতী আস্থাপথের কাজ কতদূর এগোল, তার পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুটি আস্থাপথ নির্মাণের ফলে এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক পর্যটন ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেদাননাথ সঙ্গম স্নান ঘাট থেকে মন্দাকিনী আস্থাপথ এবং সরস্বতী আস্থাপথ পর্যন্ত দুটি পৃথক সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সেতুদুটি ধরে ভক্তরা সরাসরি মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন। মন্দাকিনী আস্থাপথে একটি জলের এটিএমও স্থাপন করা হয়েছে। এখানে উষ্ণ ও ঠান্ডা জল পাবেন ভক্তরা। নতুন দোকানঘরও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে পূজার সামগ্রী পাওয়া যাবে।

এদিন কেদারনাথ ধাম প্রকল্পের শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল গুরমিত সিং।

Next Article