ভুবনেশ্বর: ৭৪তম জন্মদিনটা ওড়িশার এক গ্রামে কাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিন তিনি সুবিধাভোগীদের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। রামায়ণের কাহিনি অনুযায়ী ভগবান রামের আগমনে মুক্তি ঘটেছিল। এদিন ওড়িশার এই গ্রামে এক ব্যক্তি প্রদানমন্ত্রীমোদীকে সেই কাহিনির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, যেভাবে শবরীর কুঁড়েঘরে এসে তাঁকে উদ্ধার করেছিলেন ভগবান রাম, ঠিক সেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগমনে তাঁদের গ্রাম আজ ধন্য হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মোহন মাঝি। আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে চা পান করতে দেখা যায়। এক বাচ্চা মেয়েকে দেখা যায়, তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এবং একটি ছবি উপহার দিতে।
আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিমের সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে চান। তাদের উপার্জন এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এক মহিলাকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তিনি কীসের ব্যবসা করেন? ওই মহিলা জানান, তিনি মাশরুম চাষ করেন। এ থেকে তাঁর প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় হয়। তাতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাহলে তো আপনি একজন লাখপতি দিদি।” আরেক মহিলা জানান, করোনা মহামারির সময় তাঁর ব্যবসা বন্ধ ছিল। তারপর তিনি, প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার সুবিধা পেয়েছিলেন। এরপরই তার রোজগার বেড়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা যায়, গ্রামের অনেক মহিলাই জামা-কাপড় সেলাই করে উপার্জন করেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের কুর্তা দেখিয়ে এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, “এই রকম কুর্তা তৈরি করতে পারবেন?” মহিলা হেসে জানান, “অবশ্যই।” প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেন, “তাহলে এই রকম কুর্তা তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন, আমি পরব।” এই সময়ই প্রধানমন্ত্রীর সামনে আবাস যোজনার আরও এক সুবিধাভোগী শবরীর প্রসঙ্গ তোলেন। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো আপনাদের ছেলে হিসেবে এখানে এসেছি। ছেলেরা মায়ের বাড়িতে যায় মায়ের আশীর্বাদ নিতে। আজ আমিও এখানে এসে আপনাদের আশীর্বাদ পেয়েছি।”