PM Narendra Modi: ‘কোনও দুর্নীতিগ্রস্তরা রেহাই পাবে না’, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধেও সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
Independence Day: প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পরিবারতন্ত্র দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে ফাঁকা করে দিয়েছে, বহু দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। দুর্নীতি দেশকে ঘুণের মতো ক্ষয় করে দিচ্ছে।"
নয়া দিল্লি: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র-এই জমজ শত্রুর মুখোমুখি হয়েছে আমাদের দেশ এবং এর থেকে মুক্তি পেতে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে”। দেশে দুর্নীতি দমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ করবে এবং কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রেয়াত করা হবে না বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী।
করোনা সংক্রমণের কারণেবিগত দুই বছর লালকেল্লায় বড় মাপে স্বাধীনতা দিবস পালন করা সম্ভব না হলেও, এবারে আয়োজনের কোনও খামতি রাখা হয়নি। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ লালকেল্লায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর তিনি জাতীয় উদ্দেশে ভাষণ দেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ থেকে শুরু করে নারীশক্তির জয়গান, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ ছিল। বক্তব্যের শেষভাগে তিনি পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবারতন্ত্র দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে ফাঁকা করে দিয়েছে, বহু দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। দুর্নীতি দেশকে ঘুণের মতো ক্ষয় করে দিচ্ছে। আমাদের দেশকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে…দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ- দুইয়ের থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একই সমাজের অংশ হিসাবে আমাদের একজোট হয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষদের শাস্তি দিতে হবে। যারা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছি আমরা। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি যে আপনারা সকলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের সাহায্য করুন।”
‘ভাই-ভাতিজাবাদ’ ও পরিবারবাদ দেশে আর চলবে না বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী। নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ শুধুমাত্র রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “পরিবারতন্ত্র শুধুমাত্র রাজনীতি নয়, একাধিক প্রতিষ্ঠানেই ছড়িয়ে রয়েছে। আমাদের বহু প্রতিষ্ঠানই পরিবারতন্ত্রের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কারণে যোগ্য প্রতিভারা সুযোগ পায় না। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের অসহশীলতা গড়ে তুলতে হবে, এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করি। এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। সরকারে স্বচ্ছতা চাই। পরিবারের মঙ্গলের সঙ্গে দেশের মঙ্গলের কোনও সম্পর্ক নেই। আসুন আমরা সকলে মিলে রাজনীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিবারবাদের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করি।”