নয়া দিল্লি: দুই বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, করোনা সংক্রমণ এখনও বিদায় নেয়নি। মারণ ভাইরাসের প্রভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। লকডাউনের সময়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়েছিল সকলকে। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে শুধু মানবজীবনেই নয়, কর্মজীবনেও পড়েছিল ব্যাপক প্রভাব। চাকরি হারাতে হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষকে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও করোনাকালে ও পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থানের সঙ্কট নিয়ে মুখ খুললেন। শনিবার তিনি বলেন, “করোনাকালে বিশ্বজুড়েই কর্মসংস্থান ও আর্থিক সঙ্কট দেখা গিয়েছিল। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। সরকার এই আর্থিক সঙ্কট মেটানোর কাজই ধীরে ধীরে করছে।”
শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্য়মে ‘রোজগার মেলা’য় যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই তিনি ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র বিলি করেন। যুব প্রজন্মের কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করছে বলেই জানান তিনি। অর্থনীতিতে করোনা সংক্রমণের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা সত্যি যে বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। একাধিক বড় বড় অর্থনীতি এখনও লড়াই চালাচ্ছে মন্দার সঙ্গে। একাধিক দেশেই মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের চরম সমস্যা দেখা গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল রোজগার মেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী একদিনেই ৭৫ হাজার কর্মসংস্থানের ঘোষণা করেন। আগামী দেড় বছরে দেশে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলেও জানান। বিভিন্ন সরকারি পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশ থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিদের ভারত সরকারের ৩৮ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নিয়োগ করা হবে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা সরকারের কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রুপ-এ, গ্রুপ-বি (গেজেটেড), গ্রুপ-বি (নন-গেজেটেড) এবং গ্রুপ-সি-তে যোগ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।