নয়া দিল্লি : কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কয়েকদিন আগেই দেশের শিল্পপতিদের একাংশকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছিলেন। টুইটারে লিখেছেন ‘ডাবল এ ভ্যারিয়েন্ট’। সরাসরি কারও নাম না নিলেও আক্রমণের নিশানা যে আম্বানী এবং আদানি গোষ্ঠী ছিল, তা স্পষ্ট। আর রাহুল গান্ধীর সেই মন্তব্য নিয়েই এবার কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। রাহুলের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি কী বলছেন! শিল্পপতিরা কোভিডের এক একটি ভ্যারিয়েন্ট? অন্তত তাঁকে বলুন যে তিনি এইসব বলে কংগ্রেসের সুনাম নষ্ট করছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগে হাজার কোটির সংস্থা তৈরি হতে কয়েক দশক লেগে যেত। আজ সরকারের নীতির জন্য দেশের যুব সম্প্রদায় কয়েক বছরের মধ্যেই হাজার কোটির সংস্থা দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। স্টার্ট আপ সংস্থার দিক থেকে গোটা বিশ্বে প্রথম তিন দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত। এমন কি কোনও ভারতীয় থাকতে পারেন, যাঁর এতে গর্ব হবে না!”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কিন্তু এমন সময়ে বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করাটা তাদের (কংগ্রেস) অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। কিছু লোক দেশের তরুণ প্রজন্মকে, দেশের উদ্যোগপতিদের ভয় দেখিয়েই আনন্দ পান। তাঁদের বিপথে চালিয়ে আনন্দ পান। দেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের কথা শুনছে না। সেই কারণেই দেশ আগে এগোচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসে এমন লোক বসে রয়েছে, যিনি বলেন, যাঁরা আমাদের উদ্যোগপতি, তাঁরা নাকি করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট! আশ্চর্যের বিষয়। কী অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি আমরা! আমাদের দেশের উদ্যোগপতিরা করোনার ভ্যারিয়েন্ট! এ কী বলছি আমরা! কেন বলছি! যাঁরা আপনাদের দলের ভিতরে বসে রয়েছেন, তাঁদের বলুন। এমন করে আপনাদের দলেরই ক্ষতি হচ্ছে। কংগ্রেসের ক্ষতি হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস শিবিরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যাঁরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না, তাঁরা ইতিহাসের পাতাতেই হারিয়ে যান।”
কংগ্রেসের অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ৬০ থেকে ৮০-র দশকের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোদী বলেন, “অতীতে জওহরলাল নেহরুর সরকার এবং ইন্দিরা গান্ধীর সরকারকে কী বলা হত? বলত, এটা তো টাটা-বিড়লার সরকার। এই সরকারকে তো টাটা আর বিড়লাই চালাচ্ছে। ৬০-এর দশক থেকে ৮০-র দশক পর্যন্ত এমন কথাই বলা হত। নেহরুর নামে, ইন্দিরা গান্ধীর নামে বলা হত।” এরপর বামেদের সঙ্গে আঁতাতের কথা তুলে ধরে বলেন, “আপনারা শুধু বামেদের সঙ্গে আঁতাতই করেননি, তাদের মতো করে কথাও বলতে শুরু করে দিয়েছেন।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “আপনার এতটাই নীচে নেমে গিয়েছেন, যে আজ পাঞ্চিং ব্যাগ বদলে গিয়েছে, কিন্তু অভ্যাস যায়নি।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ২ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছিলেন, “বিজেপির নীতির কারণে, ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা একটি বিভাজন তৈরি করেছে যেখানে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একটি “ডাবল এ” ভ্যারিয়েন্ট সমস্ত সেক্টরে একচেটিয়া আধিপত্য করে। আর এদিকে গরিবের ভারতে, ২০২১ সালে ৩ কোটি যুবক চাকরি হারিয়েছে।”
Institutions – instruments of conversation between states & people – are being destroyed by BJP’s idea of India.
They’ve created a divide where a “Double A” variant of the very richest monopolise all sectors.
Yet in “Gareebon ka Hindustan”, 3 crore youth lost jobs in 2021.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 2, 2022
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি : কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কয়েকদিন আগেই দেশের শিল্পপতিদের একাংশকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছিলেন। টুইটারে লিখেছেন ‘ডাবল এ ভ্যারিয়েন্ট’। সরাসরি কারও নাম না নিলেও আক্রমণের নিশানা যে আম্বানী এবং আদানি গোষ্ঠী ছিল, তা স্পষ্ট। আর রাহুল গান্ধীর সেই মন্তব্য নিয়েই এবার কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। রাহুলের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি কী বলছেন! শিল্পপতিরা কোভিডের এক একটি ভ্যারিয়েন্ট? অন্তত তাঁকে বলুন যে তিনি এইসব বলে কংগ্রেসের সুনাম নষ্ট করছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগে হাজার কোটির সংস্থা তৈরি হতে কয়েক দশক লেগে যেত। আজ সরকারের নীতির জন্য দেশের যুব সম্প্রদায় কয়েক বছরের মধ্যেই হাজার কোটির সংস্থা দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন। স্টার্ট আপ সংস্থার দিক থেকে গোটা বিশ্বে প্রথম তিন দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত। এমন কি কোনও ভারতীয় থাকতে পারেন, যাঁর এতে গর্ব হবে না!”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কিন্তু এমন সময়ে বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করাটা তাদের (কংগ্রেস) অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। কিছু লোক দেশের তরুণ প্রজন্মকে, দেশের উদ্যোগপতিদের ভয় দেখিয়েই আনন্দ পান। তাঁদের বিপথে চালিয়ে আনন্দ পান। দেশের তরুণ প্রজন্ম তাদের কথা শুনছে না। সেই কারণেই দেশ আগে এগোচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসে এমন লোক বসে রয়েছে, যিনি বলেন, যাঁরা আমাদের উদ্যোগপতি, তাঁরা নাকি করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট! আশ্চর্যের বিষয়। কী অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি আমরা! আমাদের দেশের উদ্যোগপতিরা করোনার ভ্যারিয়েন্ট! এ কী বলছি আমরা! কেন বলছি! যাঁরা আপনাদের দলের ভিতরে বসে রয়েছেন, তাঁদের বলুন। এমন করে আপনাদের দলেরই ক্ষতি হচ্ছে। কংগ্রেসের ক্ষতি হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস শিবিরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যাঁরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না, তাঁরা ইতিহাসের পাতাতেই হারিয়ে যান।”
কংগ্রেসের অতীতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ৬০ থেকে ৮০-র দশকের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোদী বলেন, “অতীতে জওহরলাল নেহরুর সরকার এবং ইন্দিরা গান্ধীর সরকারকে কী বলা হত? বলত, এটা তো টাটা-বিড়লার সরকার। এই সরকারকে তো টাটা আর বিড়লাই চালাচ্ছে। ৬০-এর দশক থেকে ৮০-র দশক পর্যন্ত এমন কথাই বলা হত। নেহরুর নামে, ইন্দিরা গান্ধীর নামে বলা হত।” এরপর বামেদের সঙ্গে আঁতাতের কথা তুলে ধরে বলেন, “আপনারা শুধু বামেদের সঙ্গে আঁতাতই করেননি, তাদের মতো করে কথাও বলতে শুরু করে দিয়েছেন।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “আপনার এতটাই নীচে নেমে গিয়েছেন, যে আজ পাঞ্চিং ব্যাগ বদলে গিয়েছে, কিন্তু অভ্যাস যায়নি।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ২ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছিলেন, “বিজেপির নীতির কারণে, ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা একটি বিভাজন তৈরি করেছে যেখানে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একটি “ডাবল এ” ভ্যারিয়েন্ট সমস্ত সেক্টরে একচেটিয়া আধিপত্য করে। আর এদিকে গরিবের ভারতে, ২০২১ সালে ৩ কোটি যুবক চাকরি হারিয়েছে।”
Institutions – instruments of conversation between states & people – are being destroyed by BJP’s idea of India.
They’ve created a divide where a “Double A” variant of the very richest monopolise all sectors.
Yet in “Gareebon ka Hindustan”, 3 crore youth lost jobs in 2021.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 2, 2022
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা