৬ দিন ব্যাপী তিন দেশ জুড়ে বিদেশ সফর শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৬ থেকে ২১ নভেম্বর জুড়ে নাইজেরিয়া, ব্রাজিল এবং গায়ানা এই তিন দেশে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিন দেশে বিদেশ সফররে সময় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে ৩১টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অংশ নিয়েছিলেন।
নাইজেরিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দিয়ে শুরু করে তিনি ব্রাজিলে ১৯তম জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেন। এরই মাঝে তিনি ১০টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর গায়ানা সফরকালে তিনি ৯টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ব্রাজিলে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, পর্তুগাল, ইতালি, নরওয়ে, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, চিলি, আর্জেন্টিনা এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতো, পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই।
ব্রাজিলে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এমনকি উরসুলা ভন ডার লেইন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ক্রিস্টালিনা জর্জিভার মত একাধিক সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গায়ানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী গায়ানা, ডোমিনিকা, বাহামা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সুরিনাম, বার্বাডোস, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, গ্রেনাডা এবং সেন্ট লুসিয়ার নেতাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
প্রসঙ্গত, ৫৬ বছর পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গায়ানায় সফরে গেলেন। এখানেই তাঁকে গায়ানার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অব এক্সিলেন্স’ দিয়েও সম্মানিত করা হয়।