নয়া দিল্লি: দেশের কী নাম বদলে যাবে? ইন্ডিয়ার বদলে এবার থেকে ভারত লেখা হবে? এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই শাসক ও বিরোধীর তরজা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে “ইন্ডিয়া-ভারত” নামের বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, নামের বিতর্ক ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি ইস্যু। এই বিষয়ে যথাসম্ভব রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কোনও মন্তব্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে স্ট্যালিন-পুত্র উদয়নিধির সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবারই দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি সনাতন ধর্ম নিয়ে উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্যের যোগ্য জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মন্ত্রীদের তিনি বলেন, “কড়া ভাষায় এর জবাব দিতে হবে”।
একইসঙ্গে ইন্ডিয়া বনাম ভারত নামের বিতর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্ত্রীপরিষদকে নির্দেশ দেন বিতর্ক এড়িয়ে যেতে। কেবলমাত্র অনুমোদনপ্রাপ্ত আধিকারিক বা কর্তারাই যেন এই নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ইতিহাস ঘাটতে যাবেন না, সংবিধান মেনে শুধুমাত্র তথ্য় নিয়েই আলোচনা করুন। সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলুন।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত নাকি ইন্ডিয়া, এই নামের বিতর্ক অত্য়ন্ত সংবেদনশীল। এই নিয়ে যথাসম্ভব রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। যাদের এই বিষয়ে কথা বলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, একমাত্র তাঁরাই যেন ইন্ডিয়া-ভারত নাম নিয়ে কথা বলেন।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি স্ট্যালিন সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগ। এই জিনিসগুলির বিরোধিতা নয়, ধ্বংস করে দেওয়া উচিত।”
এই মন্তব্য় ঘিরেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিজেপির তরফে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকেই আক্রমণ করা হয়। উদয়নিধি মন্তব্যে গণহত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। বুধবার উত্তর প্রদেশে উদয়নিধি স্ট্য়ালিন ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়্গের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়।