নয়া দিল্লি: ঘুষ নিলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সাংসদ-বিধায়কদের, পাবেন না কোনও সুরক্ষাকবচ। সোমবার এমনটাই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯৮ সালের রায়কে বাতিল করেই এ দিন শীর্ষ আদালতের ৭ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে জানায় যে, টাকার বিনিময়ে বক্তব্য় বা ভোট দিলে, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনেই পদক্ষেপ করা যাবে। তারা কোনও আইনি সুরক্ষাকবচ পাবেন না। শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে রায় দেয় যে ঘুষ নিলে সাংসদ-বিধায়কদের শাস্তির মুখেই পড়তে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, “অসাধারণ রায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের। এই রায় স্বচ্ছ রাজনীতিকে নিশ্চিত করবে এবং বিচারব্যবস্থায় মানুষের আস্থা আরও দৃঢ় করবে।”
SWAGATAM!
A great judgment by the Hon’ble Supreme Court which will ensure clean politics and deepen people’s faith in the system.https://t.co/GqfP3PMxqz
— Narendra Modi (@narendramodi) March 4, 2024
১৯৯৮ সালের শীর্ষ আদালতের রায়ে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য রাখা বা ভোট দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের একটি মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এই রায়কে গ্রহণ না করা হলে, তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ২০২৩ সালে এই মামলার রায় সংরক্ষিত রাখে শীর্ষ আদালত। আজ, ৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, “সংবিধানের স্বাধীকার ঘুষকে মান্যতা দেয় না। ১৯৯৮ সালের ওই রায়, সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি ও ঘুষ সাধারণ জনজীবন নষ্ট করতে পারে। আমরা সমস্ত দিক পর্যালোচনা করেই পুরনো সিদ্ধান্তকে বাতিল করছি।”