হায়দরাবাদ: আর বেশি দূরে নয় লোকসভা নির্বাচন, তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। আগামী বছর তেলঙ্গানাতেও রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণে এক ঢিলে দুই পাখি মারতেই হায়দরাবাদে আয়োজন করা হল বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের। দুদিনের এই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দলীয় বৈঠকে কর্মীদের মনোবল জোগাতে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির।
দেশের উত্তরভাগ প্রায় পুরোটাই দখলে থাকলেও, বেশ কয়েকটি দক্ষিণী রাজ্য এখনও বিজেপির ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের শাসক দলের লক্ষ্য এই রাজ্যগুলিকে দখল করা। আগামী বছরই রয়েছে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই ওই দক্ষিণী রাজ্যকে নিশানা বানিয়েছে বিজেপি। আজ থেকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হলেও, ইতিমধ্যেই একাধিক শীর্ষনেতাও হায়দরাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন। গতকালই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং বৈঠক করেন। পরে রোড-শোয়ের আয়োজনও করা হয়েছিল।
ওই পথসভা শেষ হওয়ার পরই জেপি নাড্ডা টুইট করে বলেন, “হায়দরাবাদে এই রোড শোয়ের নেতৃত্ব দিতে পারা আমার কাছে গর্বের বিষয়। কারণ এই রোড শো আমায় শহরের মানুষজন ও কার্যকর্তাদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। যে পরিমাণ ভালবাসা ও স্নেহ দেখেছি আমি, তাতে স্পষ্ট যে তেলাঙ্গানায় বিজেপি দ্রুত নিজের জায়গা করে নিচ্ছে।”
আজ, শনিবার দুপুরে হায়দরাবাদে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে নভোটেল হোটেলে থাকবেন তিনি। তবে বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে হায়দরাবাদের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যাবে প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টে থেকে রাত ৯টা অবধি এই বৈঠক চলবে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ৩৬০ জন জাতীয় একজেকিউটিভ সদস্য।
রবিবার এই কর্মসমিতির দ্বিতীয়দিনে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হবে বৈঠক। ওই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী মোদী উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। বিগত পাঁচ মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার হায়দরাবাদ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, অগ্নিপথ প্রকল্প থেকে শুরু করে জিএসটি বৃদ্ধি, একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করছে তেলঙ্গানার শাসক শিবির টিআরএস। বিজেপির বৈঠককে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে পোস্টার রাজনীতিও।