নয়া দিল্লি: আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। তবে এই উত্থান এত সহজ ছিল না। পথেঘাটে ঘুরেই প্রচার চালিয়েছিলেন যৌবনের নরেন্দ্র মোদী। গ্রামে গ্রামে ঘুরে আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের কষ্টের কথা বুঝেছেন। জনজাতীয় গৌরব দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই অভিজ্ঞতাই তুলে ধরা হল।
স্বয়ংসেবক হিসাবে যখন কাজ করতেন নরেন্দ্র মোদী, সেই সময় তিনি একটি ছোট্ট গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে এক স্বয়ংসেবকের বাড়িতে যান। ওই স্বয়ংসেবকের স্ত্রী তাঁকে এক বাটি দুধ ও অর্ধেক বাজরার রুটি খেতে দেন। নরেন্দ্র মোদী লক্ষ্য করেন, তাদের খুদে সন্তানের নজর ওই দুধের বাটিতেই আটকে রয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন যে ওই এক বাটি দুধ আসলে শিশুটির জন্য বরাদ্দ ছিল। বুঝতে পেরে নমো জল দিয়ে শুধু রুটি খান। দুধের বাটিতে হাতও লাগাননি। তাঁকে খেতে না দেখেই ওই শিশুটি এক চুমুকে পুরো বাটি দুধ খেয়ে নেয়। ওই দৃশ্য দেখে মোদীর চোখে জল চলে আসে। ওই মুহূর্তে মোদী বুঝেছিলেন যে দেশের দারিদ্রতা ও ক্ষুধা কোন স্তরে রয়েছে।
A Child’s Hunger
During one of his travels to a small village, @narendramodi visited the humble hut of a Swayamsewak who lived with his wife and young son.
The Swayamsewak’s wife offered Modi half a bajra roti with a bowl of milk in a gesture of hospitality. Modi noticed the…
— Modi Archive (@modiarchive) November 15, 2024
আরেকবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এতটাই আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা যে তারা আদিবাসী উন্নয়নের জন্য সাদা চেক লিখে দিয়েছিলেন। ১৯৮০-র দশকে আহমেদাবাদে বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন হয়। সেই সময় আদিবাসীদের সাহায্যের জন্য আর্থিক তহবিল গড়ার পরিকল্পনা করা হয়। বক্তা হিসাবে স্টেজে উঠেছিলেন যুবক নরেন্দ্র মোদী। ৯০ মিনিটের একটানা বক্তৃতা দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য শুনে এতটাই আপ্লুত-প্রভাবিত হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা, তারা অনেকেই ব্ল্যাঙ্ক চেক লিখে দিয়েছিলেন।
Twelve Days, Fifty Books
Young @narendramodi once gave a speech so impactful that businessmen offered blank cheques for tribal welfare!
In the early 1980s, as the foundation of the Vanvasi Kalyan Ashram was being laid in Ahmedabad a fundraiser was planned to support tribal…
— Modi Archive (@modiarchive) November 15, 2024
কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতায় এতটা প্রভাবিত হয়েছিলেন সকলে? আদিবাীদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে মাত্র ১২ দিনের মধ্যে ৫০টি বই পরেছিলেন তিনি।