Fraud Alert: ‘৫ কোটি দাও, সাংসদ হয়ে যাবে…’ টাকা হজমের অভিযোগে গ্রেফতার সাধুবাবা
Fraud Case: ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, নানকদাস মহারাজ তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত করার কথা বলেছিলেন। সেই সমতো তাঁর থেকে দুই দফায় দুই কোটি টাকা নিয়েছিলেন। প্রথমে নবীন সিং নামে এক অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জমা করানো হয়েছিল এবং তারপর নানকদাস মহারাজকে ৭৫ লাখ টাকা নগদ দেওয়া হয়েছিল।
রাজস্থান: লোকসভা ভোটের মাঝেই এবার এক সাধুর পর্দাফাঁস করল পুলিশ। সাংসদ বানিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ওই সাধুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের নাগৌর জেলায়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, নানকদাস মহারাজ নামে ওই সাধু নিজেকে নাগৌরের বদি খাতু এলাকায় এক আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছিলেন। অভিযোগ, নরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তিকে রাজ্যসভার সাংসদ বানিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁর থেকে ৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
নাগৌরের বদি খাতু এলাকায় নানকদাস মহারাজের একটি আশ্রম রয়েছে। তাঁর বাড়ি জয়াল বিধানসভার অন্তর্গত বদি খাতুর ধিজপুরা গ্রামে। জয়াল বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনীতিতেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় বলে জানা যাচ্ছে। গত ২৫ এপ্রিল দিল্লির কিশানগড় থানায় নানকদাস মহারাজের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। নরেন্দ্র সিং নাম ওই অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর দাবি, নানকদাস ও নবীন সিং তাঁকে ৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন।
ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, নানকদাস মহারাজ তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত করার কথা বলেছিলেন। সেই সমতো তাঁর থেকে দুই দফায় দুই কোটি টাকা নিয়েছিলেন। প্রথমে নবীন সিং নামে এক অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জমা করানো হয়েছিল এবং তারপর নানকদাস মহারাজকে ৭৫ লাখ টাকা নগদ দেওয়া হয়েছিল। দুই দফায় এই টাকা দেওয়ার পর থেকেই নবীন সিং ও নানকদাস সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়।