অযোধ্যা: রামমন্দিরের দরজা খোলার পর থেকেই আমুল বদল এসেছে অযোধ্যায়। প্রতিদিন লাখ ভক্তের সমাগম হচ্ছে রামভূমে। প্রচুর পর্যটক আসছেন। নিঃসন্দেহে ভারতের পর্যটনের মানচিত্রে অযোধ্যার ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মন্দির-শহর অযোধ্যায় ডোমিনো’জ, পিৎজা হাট-এর মতো ফুড চেন তাদের আউটলেট খুলে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। কোনওরকম মাংসের মেনু রাখছে না তারা তালিকায়। ভেজ-মেনুতেই সাজছে তাদের দোকান। দারুন বিক্রিবাটাও হচ্ছে সেসবের।
অযোধ্যা-লখনউ হাইওয়েতে কেনটারি ফ্রায়েড চিকেন (KFC)-এর আউটলেট আছে। চাইলে তারাও শাখা খুলতে পারে রামমন্দিরের কাছে। তবে মানতে হবে একটাই শর্ত, শুধুমাত্র নিরামিষ মেনু থাকবে সেখানে। ইতিমধ্যেই মদ ও মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে অযোধ্যায় নিয়মের কড়াকড়ি আছে। পঞ্চ কোশি মার্গের মধ্যে মদ ও মাংস কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পঞ্চ কোশি মার্গ অযোধ্যা মন্দির শহরকে বলয়ে ঘিরেছে ১৫ কিলোমিটার। এই তীর্থবলয়ে রয়েছে রামায়ণে কথিত বিভিন্ন পবিত্রস্থান।
রামমন্দিরের একেবারে কাছেই ডোমিনো’জ-এর আউটলেট। দেশের বিভিন্ন কোণের মানুষ রোজ সেখানে যাচ্ছেন, পছন্দের খাবার খাচ্ছেন। মন্দির থেকে খুব বেশি হলে ১ কিলোমিটার দূর হবে। এটিই রামমন্দিরের কাছে ডোমিনো’জ-এর প্রথম আউটলেট। প্রথমদিনই ৫ হাজার টাকার ব্যবসা করেছিল তারা। ধীরে ধীরে এ ব্যবসা যে আরও বাড়বে তারা আত্মবিশ্বাসী। এদিকে রামমন্দির থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিৎজা হাট। তিন মাস আগে আউটলেটটি খোলে তারা। ভালই বিক্রি হচ্ছে। শুধু নিরামিষ খাবারই তাদের মেনুতে। অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি চৌধুরী চরণ সিং ঘাটে একটি ফুডপ্লাজা তৈরি করছে। ফেব্রুয়ারিতেই তা খুলে যাবে। আরও প্রচুর খাবারের দোকানে সাজবে তা।