Autopsy Report: ‘উধাও’ ঘিলু, খুলি ফেটে চৌচির, ঝুলছিল ফুসফুস, অঞ্জলির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল বীভৎসতার চিহ্ন

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 04, 2023 | 8:04 AM

Delhi Crime: দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা অঞ্জলি সিংয়ের দেহের ময়নাতদন্ত করেন। তাঁরাই দিল্লি পুলিশকে জানান, মস্তিষ্কের ভিতরে ঘিলু ছিল না। পিঠ এতটাই ঘষটে গিয়েছিল যে তাঁর পাঁজর বেরিয়ে এসেছিল।

Autopsy Report: উধাও ঘিলু, খুলি ফেটে চৌচির, ঝুলছিল ফুসফুস, অঞ্জলির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল বীভৎসতার চিহ্ন
নিহত অঞ্জলি সিং।

Follow Us

নয়া দিল্লি: নববর্ষের রাতে বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে যাওয়ার জন্য হস্টেল থেকে বের হয়েছিল বছর ২০-র অঞ্জলি। স্কুটিতে সহযাত্রী ছিল বান্ধবী নিধি। একটা মোড় পার করতেই পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন দুজনেই। নিধি কোনওমতে সরে গেলেও, অঞ্জলির পা আটকে যায় গাড়ির সামনের চাকায়। এদিকে, দুর্ঘটনার পর এক মুহূর্তও দাঁড়ায়নি ঘাতক গাড়ি। চাকায় অঞ্জলির দেহ জড়ানো অবস্থাতেই ১২ কিলোমিটার অতিক্রম করে তাঁরা। ইউ টার্ন নিতে গিয়ে অঞ্জলির দেহ নজরে আসায়, সেখানেই রাস্তার ধারে তাঁর দেহ ফেলে পালিয়ে যায় ৫ অভিযুক্ত। নতুন বছরের শুরুতেই দিল্লির (Delhi Accident) এই নৃশংস ঘটনায় হতবাক সকলে। নিহত অঞ্জলি সিংয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (Autopsy Report) তুলে ধরল কতটা বীভৎস পরিণতি হয়েছিল তাঁর দুর্ঘটনার পর।

মঙ্গলবার বছর ২০-র অঞ্জলি সিংয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসে। জানা যায়, দুর্ঘটনার পর ১২কিলোমিটার তাঁর দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ায় মাথা ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। ময়নাতদন্তের সময় তাঁর মস্তিষ্কের ঘিলু পাওয়া যায়নি। ভেঙে টুকরো হয়েছিল তাঁর খুলি। ভেঙে গিয়েছিল তাঁর শিরদাঁড়া, শরীরে মোট ৪০টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তের  এই রিপোর্টেই বোঝা যাচ্ছে কতটা ভয়াবহভাবে অঞ্জলির মৃত্যু হয়েছিল।

দিল্লির মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা অঞ্জলি সিংয়ের দেহের ময়নাতদন্ত করেন। তাঁরাই দিল্লি পুলিশকে জানান, মস্তিষ্কের ভিতরে ঘিলু ছিল না। পিঠ এতটাই ঘষটে গিয়েছিল যে তাঁর পাঁজর বেরিয়ে এসেছিল। তাঁর পাঁজরের হাড়েও ঘষা লাগার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পিঠের দিক থেকে বেরিয়ে এসেছিল ফুসফুসও বেরিয়ে ঝুলছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁর শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছিল। গোটা দেহেই কাদা ও ধুলো লেগেছিল।

আট পাতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অঞ্জলির শরীরে মোট ৪০টি আঘাত ছিল। এরমধ্যে কয়েকটি আঘাত অত্যন্ত গুরুতর, বেশ কিছু অংশ ঘষা লেগে, পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে যেমন অনেক আঘাত লাগে শরীরে, তেমনই মৃত্যুর পরেও আঘাত লাগার প্রমাণ মিলেছে। শক ও হেমারেজের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১ জানুয়ারির রাতে অঞ্জলি সিংয়ের স্কুটিতে দ্রুতগতিতে আসা একটি বলেনো গাড়ি ধাক্কা মারে। তাঁর পা সামনের চাকায় জড়িয়ে যায়, সেই অবস্থাতেই তাঁকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় গাড়িতে থাকা অভিযুক্ত পাঁচ যুবক।

Next Article