AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prajwal Revanna: Prajwal Revanna: বাগানবাড়িতেই চলত পৈশাচিক অত্যাচার, ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি

Prajwal Revanna: তার বিরুদ্ধে এখনও সাজা ঘোষণা করেনি বিশেষ আদালত। জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার এই মামলায় রায়দান করবেন বিচারকরা।

Prajwal Revanna: Prajwal Revanna: বাগানবাড়িতেই চলত পৈশাচিক অত্যাচার, ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি
প্রজ্বল রেভান্নাImage Credit: PTI
| Updated on: Aug 01, 2025 | 6:42 PM
Share

নয়াদিল্লি: ১৪ মাসেই দোষী সাব্যস্ত। শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি তথা প্রাক্তন জেডি (এস) সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে দোষী সাব্যস্ত করল বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। এই প্রজ্বলেরই আবার কাকা এইচডি কুমারস্বামী, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভারও সদস্য।

শুক্রবার অভিযুক্ত প্রজ্বলকে দোষী সাব্যস্ত করলেও তার বিরুদ্ধে এখনও সাজা ঘোষণা করেনি বিশেষ আদালত। জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার এই মামলায় রায়দান করবেন বিচারকরা।

উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে আগেই একটি পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে। যাতে দেখা যায়, বিভিন্ন মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করছেন প্রজ্বল। কাউকে যৌন হেনস্থা, কাউকে আবার ধর্ষণ করছেন তিনি। এই সময়কালে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ অভিযোগও দায়ের হয়। দল তাকে সাসপেন্ড করে। ভিডিয়োকাণ্ড প্রকাশ্য়ে আসতেই দেশ ছাড়ে প্রজ্বল। একাংশের ধারণা শতাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন সে। পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতি দেশে ফিরতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই ছিলেন তিনি। এই সময়কালেই কর্নাটকের সরকার রেভন্নার বিরুদ্ধে সিট গঠন করে।

আগুনের গতিতে চলে তদন্ত। গত ১৮ই জুলাই বেঙ্গালুরু বিশেষ আদালতে ছিল শেষ শুনানি। সেদিন সিট নিজের তদন্ত রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভাবে জমা দেয়। তার ভিত্তিতেই প্রজ্বলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

তবে একাধিক ধর্ষণের মামলায় তিনি যে দোষী হয়েছেন এমনটা নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হোলেনারসিপুরায় রেভান্নার পরিবারের মালিকানাধীন একটি বাগানবাড়িতে কাজ করতেন এই মামলার নির্যাতিতা। অভিযোগ, তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে জোর করে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন প্রজ্বল। সেই ঘটনারই ভিডিয়ো রেকর্ডই আদালতে রেভান্নার বিরুদ্ধে হয়ে ওঠে বড় প্রমাণ। দোষী প্রমাণিত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাতি।