নয়া দিল্লি : দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অগ্নিপরীক্ষায় দুই প্রার্থী মুখোমুখি। এনডিএ প্রার্থী আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মু ও বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। সেই মাহেন্দ্রাক্ষণ উপস্থিত। দেশের সংসদে ও রাজ্যের বিধানসভায় সাংসদ ও বিধায়করা ভোট দিতে শুরু করেছেন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। তার আগে সকাল সকাল সকল রাজনৈতিক দলের কাছে পুনরায় ভোটের আর্জি জানালনে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা।
যশবন্ত সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন বলেছেন, ‘এই নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সকল সাংসদ ও বিধায়করা আমাকেই ভোট দেবেন।’ আরও একবার গণতন্ত্র রক্ষার প্রসঙ্গ শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। তিনি এদিন বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়ে থাকে। কোনও দলীয় হুইপও জারি করা হয়নি। অর্থাৎ, আপনাকেই নির্বাচন করতে হবে আপনি কার জন্য ভোট দেবেন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক লড়াই করছি না। তবে সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তাঁরা অনেক ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন। এখানে টাকার খেলাও রয়েছে।’
এদিকে নির্বাচনের আগেরদিনও রবিবার সকল রাজনৈতিক দলের কাছে ভোটের আর্জি জানিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। তিনি গতকাল টুইট করে নিজের অন্তরাত্মার উপর ভর করে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য় সাংসদ ও বিধায়কদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি গতকাল বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত করার পক্ষে তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থকরা প্রতিদিন দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানেন। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমাদের সংবিধানের মূল স্তম্ভ ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার পক্ষে আমি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এমন এক দলের প্রতিনিধি যারা এই স্তম্ভ ধ্বংস করা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আধিপত্য় প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প গোপন করেনি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি ঐক্যমত ও সহযোগিতার রাজনীতি উৎসাহ দেওয়া সমর্থন করি। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এমন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন যারা সংঘাত ও সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।’ তিনি গতকাল কার্যত গণতন্ত্রের ধ্বংস নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে সামনে রেখে বিরোধীদের তোপ দাগেন যশবন্ত।