নয়া দিল্লি : দাম কমল আরও একটি কোভিড-১৯ টিকার। দাম ৮৪০ টাকা থেকে কমে একেবারে ২৫০ টাকা হয়ে গিয়েছে। কোভিড টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই জানিয়েছে, বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে জিএসটি সহ টিকা প্রতি দাম ধার্য করা হবে ২৫০ টাকা। টিকা গ্রাহকরা পরিষেবা কর বাবদ ১৫০ টাকা সহ ৪০০ টাকাতেই পেয়ে যাবেন কর্বেভ্যাক্স টিকা। এর আগে কর্বেভ্যাক্স টিকার দাম বেসরকারি টিকাকেন্দ্রে পড়ত ৯৯০ টাকা।
মূলত শিশুদের ক্ষেত্রেই কর্বেভ্যাক্স টিকার ব্যবহার করা হয়। এ বছর মার্চে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচির ঘোষণা করে কেন্দ্রে। সেইসময়বায়োলজিক্যাল ই সংস্থা কর্তৃক প্রস্তুত কর্বেভ্যাক্স টিকা দেওয়া শুরু হয়। তখন সমস্ত সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে কর্বেভ্যাক্সের দাম ধার্য করা হয় ১৪৫ টাকা। এদিন সংস্থা জানিয়েছে, “বিই এই টিকার দাম কমানো হয়েছে। মানুষের আর্থিক সুবিধার জন্য এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বাধিক শিশুদের টিকাকরণের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই ই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
গত এপ্রিলে কেন্দ্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই এর কর্বেভ্যাক্সকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার অনুমতি দেয়। ৫ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য এই অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর পাশাপাশি তখন ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনও দেওয়া হচ্ছিল। উল্লেখ্য, করোনার চতুর্থের ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই শিশুদের টিকাকরণ শুরু করেছিল কেন্দ্র। এর পাশাপাশি ১৮ বছরের উপরে সকল নাগরিকের জন্য করোনার তৃতীয় টিকা বা বুস্টার ডোজ় নেওয়ার নির্দেশ জারি করে। সেই সময় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ় বেসরকারি কেন্দ্র থেকেই দাম দিয়ে নিতে হবে। সেই সময় বিরোধীরা এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। এবং কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর দাম কমানো হয় এই দুই টিকার। বর্তমানে এই দুটি টিকাই ২২৫ টাকায় বেসরকারি টিকাকরণকেন্দ্রে উপলভ্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লি ও তার আশেপাশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। নতুন করে মাস্ক পরা বাধ্য়তামূলক করেছিল দিল্লির প্রশাসন। কিন্তু বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। ডাক্তার, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বেশি করে টিকাকরণ ও মাস্ক পরা- এই দুটোই করোনা মোকাবিলার মূল অস্ত্র। তাই আরও বেশি টিকাকরণের লক্ষ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার এ ধরনের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।