কেরলের মেয়ে নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রী, খুশিতে আত্মহারা বাবা রাধাকৃষ্ণন

সুমন মহাপাত্র |

Nov 03, 2020 | 10:58 AM

শুক্রবার তিনি জাতিগত সম্প্রদায়, স্বেচ্ছাসেবী মন্ত্রী ও সামাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সহযোগী মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন।

কেরলের মেয়ে নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রী, খুশিতে আত্মহারা বাবা রাধাকৃষ্ণন
ফাইল চিত্র

Follow Us

TV 9 বাংলা ডিজিটাল : সোমবারই নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রী সভায় স্থান পান প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কেরলের প্রিয়ঙ্কা রাধাকৃষ্ণনকে (Priyanca Radhakrishnan) ক্যাবিনেটে নেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন (Jacinda Arden)। এই খবরে খুশিতে আত্মহারা প্রিয়ঙ্কার বাবা আর রাধাকৃষ্ণন। সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি অত্যন্ত গর্বিত।

সক্রিয় রাজনীতিতে আসার জন্য মেয়েকে বারবার উৎসাহিত করেছেন আর রাধাকৃষ্ণন। কিন্তু মেয়ে নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রী হবে, এটা ভাবতে পারেননি আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী। রাধাকৃষ্ণন বলেন, “মেয়ে মন্ত্রীত্ব পাবে এটা কখনওই আশা করিনি। ভেবেছিলাম কোনও সরকারি পদ পাবে। প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেটে নেবেন তা ভাবতে পারিনি।”

উচ্চ শিক্ষার জন্য নিউ জিল্যান্ডে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ২০০৬ সাল থেকে জেসিন্ডা আর্ডেনের লেবার পার্টির সদস্য তিনি। ২০১৭ সালে সাংসদও নির্বাচিত হন কেরলের মেয়ে। ৪১ বছরের প্রিয়ঙ্কার স্বামী রিচার্ডসন নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক। তিনি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। প্রিয়ঙ্কার মতো লেবার পার্টির সদস্যও রিচার্ডসন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজে গিয়ে দুজনের আলাপ। প্রিয়ঙ্কার রাজনৈতিক জীবনের কথা মাথায় রেখে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

প্রিয়ঙ্কা রাধাকৃষ্ণন। ফাইল চিত্র

২০১৯ সালে অসুস্থ হন প্রিয়ঙ্কার মা উষা রাধাকৃষ্ণন। তখন চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মায়ের পাশে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তবে তাঁকে লন্ডনে একটি মিটিংয়ের জন্য ফিরে যেতে হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় উষা রাধাকৃষ্ণনের। তখন মায়ের পাশে থাকতে পারেননি প্রিয়ঙ্কা।

আর রাধাকৃষ্ণনের দুই মেয়েই সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করেছেন। তারপর প্রিয়ঙ্কা নিউ জিল্যান্ডের মেসে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যান। সেখানেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। মেসে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ‘ইন্টারন্যাশনাল অফিসার’ হিসাবে নির্বাচিত হন। তারপর লেবার দলের সাংসদ আর এখন নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রীসভায় জায়গা হল তাঁর। শুক্রবার তিনি জাতিগত সম্প্রদায়, স্বেচ্ছাসেবী মন্ত্রী ও সামাজিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সহযোগী মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন।

Next Article