মধ্য প্রদেশ: বেতনের প্রমাণ হিসেবে স্বামীকে যদি স্যালারি স্লিপ দেখাতে বলা হয়, তাহলে তাতে স্বামীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয় না। বিবাহ-বিচ্ছেদের একটি মামলায় এমনটাই বলল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। আর স্যালারি স্লিপ পেশ করলে গোপনীয়তায় ব্যাঘাত ঘটানো হয় না বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। বুধবার মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি জিএস আলুওয়ালিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। সংশ্লিষ্ট মামলায় ওই ব্যক্তিকে নিম্ন আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে তিনি তাঁর স্ত্রীকে মাসে ১৮ হাজার টাকা করে দেন। কিন্তু ওই ব্যক্তি সেই টাকা দিতে দেরি করছে বলেই অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী।
হাই কোর্টের তরফে ওই ব্যক্তিকে বলা হয়েছে, আদালতে বেতনের রসিদ বা স্যালারি স্লিপ পেশ করতে বলে। আদালতে এ ভাবে স্যালারি স্লিপ পেশ করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান ওই ব্যক্তির আইনজীবী, এ ভাবে স্যালারি স্লিপ দেখালে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। অন্যান্য নথি জমা দিলেও বেতনের রসিদ জমা দেননি তিনি।
বুধবারের শুনানিতে এই প্রসঙ্গে মধ্য প্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি জিএস আলুয়ালিয়া উল্লেখ করেন, আদালতে স্যালারি স্লিপ পেশ করার বিষয়টি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা নয়। আদালতে একাধিক মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে। আদালত বলেছে, এই মামলায় অভিযুক্তের অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতখানি তা দেখে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বেতনের তথ্য জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এতে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না। আদালতে স্যালারি স্লিপ না পেশ করলে ওই ব্যক্তি মামলায় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছেন বলে ধরে নেওয়া হবে, এমনটাই দাবি করেছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২০ জুন।
আদালত উল্লেখ করেছে, সংবিধানের ১২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভিযুক্ত তাঁর স্ব-বিরোধী কোনও প্রমাণ পেশ করতে বাধ্য নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই যুক্তি খাটে না বলেই জানিয়েছে আদালত। মামলার স্বার্থে স্যালারি স্লিপ পেশ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। কারণ, মামলার অন্যতম বিষয় হল অর্থ। তাই স্বামী কত বেতন পান, সেটা মামলার জন্য জরুরি।