নয়া দিল্লি : দেশে দুটি রাজ্যেই আপের সরকার রয়েছে। এই দুই আপ শাসিত রাজ্যের ভাঁড়ারেই টান। মাসের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে এখনও পঞ্জাবে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন হয়নি। মাসের ৮ তারিখ হয়ে গিয়েছে এখনও টাকার মুখ দেখতে পারেননি তাঁরা। এদিকে দিল্লিতে বিদ্যুতের খরচ সাশ্রয় করতে দীন দয়াল উপাধ্যায় কলেজে কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে দিল্লি সরকারের অর্থ দ্বারা পরিচালিত এই কলেজ। শুধু তাই নয়, গত ২ মাস ধরে সেখানকার অধ্যাপকদের ঠিকভাবে বেতনও দেওয়া হয়নি।
দীন দয়াল কলেজে অধ্যাপকদের জুলাই মাসের পুরো বেতন দিতে ব্যর্থ আপ সরকার। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের জুলাই মাসের ৩০ হাজার টাকা বেতন বাকি এবং প্রফেসরদের ৫০ হাজার টাকা বেতন আটকে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে, টাকা নেই তাই বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, নগদ অর্থ আসলে তবে অধ্যাপকদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কলেজের তরফে বিদ্যুতের খরচ বাঁচানোর জন্য। বর্তমানে ৫ দিন করে কলেজের কাজ হচ্ছে। এই আবহে আপ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছেন অধ্যাপকরা। এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, এই সমস্যা গত দু’ বছর ধরে চলছে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর পরই পঞ্জাবের আপ সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ্য়ে এসেছে। সেখানার সরকারি কর্মীরা এখনও অগস্ট মাসের বেতন পাননি। অথচ সেপ্টেম্বরের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। পঞ্জাবে কংগ্রেস ও আকালি দলের জমানাতেই ঋণে জর্জরিত ছিল। সেই পরিস্থিতিতে আপের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে যোগ হয়েছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পুরনো ঋণ সামলে এবং নতুন প্রতিশ্রুতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে কূল কিনারা পাচ্ছে না আপ সরকার। এর উপর দিল্লিতেও অব্যবস্থার নজির পাওয়া গিয়েছে। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে-বিদেশে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু সেখানেই অব্যবস্থা নজরে এল। এদিকে অনেকেই আপ সরকারের এই খয়রাতি সংস্কৃতিকে দায়ী করেছেন এর পিছনে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ফ্রিবিস নিয়ে একটা মামলা এখনও বিচারাধীন। কিন্তু দাতব্য রাজনীতির অন্ধকার দিক ফুটে উঠছে রাজ্যে রাজ্যে। সেই তালিকাটা আপ ছাড়িয়ে অনেকটাই লম্বা।