বেঙ্গালুরু: খনিজের বিশাল ভাণ্ডার! প্রায় ৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে বিরাট খনি? চাঁদে (Moon) গিয়ে এমনই হদিশ দিল প্রজ্ঞান রোভার। চাঁদে বিপুল পরিমাণ সালফারের খোঁজ পেয়েছে প্রজ্ঞান। সালফার ছাড়া আরও একাধিক খনিজের হদিশ পেয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান (Chandrayaan-3)। আবার চাঁদের মাটিতে অক্সাইডেরও খোঁজ মিলেছে। তাহলে কী জলও রয়েছে চাঁদে? এবার তারই খোঁজ শুরু করেছে ইসরোর চন্দ্রযান। চাঁদে যদি জলের হদিশ মেলে তাহলে যে সেটা মহামূল্যবাণ রত্ন পাওয়ার সামিল হবে, তা বলা বাহুল্য।
ইসরো সূত্রে খবর, চাঁদে বিপুল পরিমাণ সালফারের খোঁজ দিয়েছে প্রজ্ঞান রোভার। এছাড়া অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকনের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে। খনিজের খোঁজ পাঠিয়েছে প্রজ্ঞানের পেলোড Laser-Induced Breakdown Spectroscope বা LIBS। পাথর বা মাটিতে লেজার পালস ব্যবহার করে খনিজের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করে এই যন্ত্র। তার মাধ্যমেই খনিজগুলির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
খনিজ দ্রব্যের পাশাপাশি ৭ মৌলেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইসরো আরও জানিয়েছে, চাঁদের মাটিতে অক্সাইডের খোঁজ মিলেছে। এখন খোঁজ চলছে হাইড্রোজেনের। হাইড্রোজেনের হদিশ মিললেই চাঁদে মিলতে পারে জল। আর সেটা যে এই জগৎসংসারের জন্য বিশাল সুখবর হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এখন জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে চন্দ্রযানের সব পেলোড। এখন চাঁদে জল পাওয়া যায় কিনা, সেদিকে তাকিয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-র সফল অবতরণ হয়েছে। যার জন্য ওই দিনদিকে জাতীয় মহাকাশ দিবস ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এবার চন্দ্রযান-৩-র অংশ প্রজ্ঞান রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে-ঘুরে সেখানকার মাটি, প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে শুরু করেছে। যা রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।