ইম্ফল: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর (Manipur)। আবার কুকি-মেইতি সংঘর্ষে চলল গুলি। দু-জায়গায় পৃথক দুটি ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৭ জন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণপুর জেলার চূড়াচাঁদপুরে (Churachandpur)। দুটি পৃথক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে মণিপুর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নারানসেনা-সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি ছোড়ে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৭ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। গোলাগুলির খবর পেয়েই জেলা পুলিশ, অসম রাইফেলস, সেনা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
উপজাতির এক নেতা জানান, এদিনের গোলাগুলিতে খোইরেনতাক গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জাংমিনলুন গাংতে (৩০)। চূড়াচাঁদপুরের সীমান্তবর্তী খোইরেনতাক ও থিনুনগেই এলাকায় এদিন দু-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি চলে বলে সূত্রের খবর।
অপর ঘটনাটি ঘটে থিনুনগেই ম্যানিং লেইখাই এলাকায়। গুলিবদ্ধ হয়েই ওই এলাকার এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করল, তা স্পষ্ট নয়। এর পিছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলেও সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে কুকি ও মেইতি জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গত কয়েক মাস রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও সম্প্রতি মহিলাদের নির্যাতনের কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ থেকে গোটা দেশ। তবে ধীরে-ধীরে মণিপুরে শান্তি ফিরছে বলে স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ কয়েক মাস পর মণিপুরে ফের স্কুল, কলেজ খোলে, চালু হয় প্রেক্ষাগৃহ। এর মধ্যে ফের এদিনের গোলাগুলির ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কুকি ও মেইতির সংঘর্ষে প্রায় ১৫০ জনের মৃত্যু হল।