ভোপাল: শুরু হতে চলেছে ‘প্রজেক্ট চিতা’র পরবর্তী অধ্যায়। কয়েক মাসের মধ্যে, ফের দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসবে বেশ কয়েকটি চিতা। আর তাদের নতুন আবাস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মধ্য প্রদেশের মান্দসৌরে অবস্থিত গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যকে। সম্প্রতি, বন বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল তথা বিশেষ সচিব চন্দ্রপ্রকাশ গোয়েল এবং জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের সচিব তথা চিতা প্রকল্পের প্রধান ড. এসপি যাদবের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ১০ দিনের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন। ভারতে এনে চিতাগুলিকে কীভাবে সঠিকভাবে রাখা যায়, সেই বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তাঁরা।
সফরকালে, মাউন্টেন জেব্রা ন্যাশনাল পার্কে চিতা ট্র্যাকিংয়েও অংশ নেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। দক্ষিণ আফ্রিকান ন্যাশনাল পার্কের রেঞ্জারদের সঙ্গে তারা কীভাবে অভয়ারণ্যে বেড়া দিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকার চিতার জনসংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, মাবুলা প্রাইভেট গেম রিজার্ভে, চিতা ডার্টিং, কলারিং এবং ট্র্যাকিংয়েও অংশ নেন তাঁরা। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার পশুচিকিত্সকরা চিতাদের কীভাবে কলারিং করছেন, তা পর্যবেক্ষণ করেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। প্রোজেক্ট চিতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশ, মৎস্য ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেছেন ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের আধা-মরুভূমি, খোলা তৃণভূমি, ঘন ঝোপঝাড় এবং সাভানা বা ঘাসজমি এলাকায় চিতারা কীভাবে বসবাস করে, তাও ঘুরিয়ে দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ। বিখ্যাত অ্যান ভ্যান ডাইক চিতা কেন্দ্রও ঘুরিয়ে দেখানো হয়। ২০২২-এর ১৭ সেপ্টেম্বর, ভারতে চিতা প্রজাতির জনসংখ্যাকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আটটি চিতা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর আরও একদল চিতা আনা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তবে, বিভিন্ন কারণে, তাদের অধিকাংশকেই বাঁচানো যায়নি।