Pune Fire Incident: একেই বলে কপালের ফের! দোকানের মালকিনকে পুড়িয়ে মারতে গিয়ে নির্মম পরিণতি অভিযুক্তেরও
Pune Fire Incident: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বালা জানিং নামক ওই মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও, হাতে পেট্রোল লেগে যাওয়ায় মিলিন্দেরও গায়ে আগুন লেগে যায়।
পুণে: মন দিয়ে কাজ না করায়, চাকরি থেকে বের করেছিলেন এক কর্মীকে। তার মূল্য যে এভাবে চোকাতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি দোকানের মালকিন। রাগের বশে ওই প্রাক্তন কর্মী দোকানের মালকিনের গায়েই আগুন (Fire) লাগিয়ে দিলেন। এখানেই শেষ নয়, আগুন লাগাতে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিও আগুনের গ্রাসে চলে যান। মঙ্গলবার দুইজনেরই মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণে(Pune)-তে।
জানা গিয়েছে, মিলিন্দ নাথসাগর (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি পুণের সোমনাথ নগরের একটি জামা-কাপড় সেলাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আটদিন আগেই দোকানের মালকিন তাঁকে তাড়িয়ে দেন। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন ওই ব্যক্তি। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ আচমকাই চড়াও হন মিলিন্দ। সেই সময় দোকান বন্ধ করছিলেন ওই মহিলা। পিছন থেকে তাঁর গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে, লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বালা জানিং নামে ওই মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও, হাতে পেট্রোল লেগে যাওয়ায় মিলিন্দেরও গায়ে আগুন লেগে যায়। পাশেই এক ব্য়ক্তির মোবাইলের দোকান ছিল, তিনি ওই মহিলাকে বাঁচাতে আসলে, নিজেও অগ্নিদ্বগ্ধ হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা কোনওমতে আগুন নেভান ও তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার সকালেই মারা যান অভিযুক্ত মিলিন্দ নাথসাগর। অন্যদিকে, বালা জেনিংয়ের শরীরেরও ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মিলিন্দের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর তাঁরও মৃত্যু হয়। যে ব্যক্তি তাঁদের বাঁচাতে গিয়েছিলেন, তিনিও ৩৫ শতাংশ অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।