চণ্ডীগঢ়: বিজেপি(BJP)-তে যাচ্ছেন না ঠিকই, তবে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগেই নেতার এই ধরনের আচরণে বেজায় চটলেন পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া (Sukhjinder Singh Randhawa) ও পঞ্জাবে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াত (Harish Rawat)।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন পঞ্জাবে (Punjab Assembly Election 2022)। তার আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন তিনি নতুন দল তৈরি করছেন। বিজেপিতে যোগ না দিলেও জোটে বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আগ্রহী হবে এই নতুন দল। এছাড়াও সম মনোভাবাপন্ন দল, যেমন শিরোমণি আকালি দল এবং ধিন্দসা ও ব্রহ্মপুরা গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক এই নতুন দল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকেই কংগ্রেসের দিক থেকে এদের পর এক আক্রমণ শুরু হয়। সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া বলেন, “বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কথা ঘোষণা করে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং নিজেকেই ধ্বংস করে ফেললেন। একসময় তিনিই বিজেপির সমালোচনা করতেন। বিজেপির উচিত অমরিন্দর সিংয়ের উপরে তদন্ত করা উচিত যে ১৯৮৪ সালে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি কী করতেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে, সেই বিষয়ে।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “ওনার উপরে নিশ্চয়ই কোনও চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। ওনার (অমরিন্দর সিং) এবং ওনার সন্তানদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অমরিন্দরের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা একটুও ভীত নই।”
কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতও অমরিন্দর সিংকে আক্রমণ করে বলেন, “যদি উনি কাক খেতে চান এবং বিজেপিকে যেতে চান, তবে যান। উনি যদি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারেন, তবে আমরা আটকানোর কে? উনি সর্বধর্ম সম্ভব প্রতীকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং কংগ্রেসের ঐতিহ্যের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিলেন। যদি উনি যেতে চান, তবে যাক।”
মঙ্গলবারই অমরিন্দর সিং টুইটে জানান, তিনি নতুন দল ঘোষণা করবেন। যদি কৃষি আইন ও কৃষক আন্দোলনের সমস্যা সমাধান হয়ে যায়, তবে বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। মঙ্গলবার বিকেলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় পরামর্শদাতা রবীন ঠুকরাল অমরিন্দরের জবানিতে লেখেন, “শীঘ্রই আমার নিজস্ব দলের ঘোষণা করব, যা পঞ্জাব ও এখানকার মানুষদের জন্য কাজ করবে। বিগত এক বছর ধরে আমাদের কৃষকরা, যারা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই চালাচ্ছে, তাদের জন্যও এই দল কাজ করবে।”
পরবর্তী টুইটেই বলা হয়, “কৃষকদের স্বার্থে যদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কোনও সমাধান সূত্রে পাওয়া যায়, তবে বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আগ্রহী হবে এই নতুন দল। একইসঙ্গে একই মনোভাবাপন্ন দল, যেমন শিরোমণি আকালি দল এবং ধিন্দসা ও ব্রহ্মপুরা গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক এই নতুন দল।”