লুধিয়ানায় বিতর্ক-মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী একাই, নেই কোনও বিরোধী; আটক কৃষক-শিক্ষকরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 01, 2023 | 1:45 PM

Bhagwant Mann's open debate: লুধিয়ানার পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ড. মনমোহন সিং অডিটোরিয়ামে 'ম্যায় পঞ্জাব বলদা হাঁ' নামে এই বিতর্কসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মানের এই ডাকে সাড়া দিয়ে এলেন না পঞ্জাবের বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতাদের কেউই। ভগবন্ত মানকে মঞ্চে একা একাই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।

লুধিয়ানায় বিতর্ক-মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী একাই, নেই কোনও বিরোধী; আটক কৃষক-শিক্ষকরা
মঞ্চে একা মুখ্যমন্ত্রী
Image Credit source: Twitter

Follow Us

লুধিয়ানা: সুতলজ যমুনা সংযোগকারী খাল এবং পঞ্জাবের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে বুধবার (১ নভেম্বর), ‘উন্মুক্ত বিতর্কের’ ডাক দিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সি মান। এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস, বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলকে। লুধিয়ানার পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির ড. মনমোহন সিং অডিটোরিয়ামে ‘ম্যায় পঞ্জাব বলদা হাঁ’ নামে এই বিতর্কসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মানের এই ডাকে সাড়া দিয়ে এলেন না পঞ্জাবের বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতাদের কেউই। ভগবন্ত মানকে মঞ্চে একা একাই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।

‘ওয়ান ম্যান শো’য়ে পূর্ববর্তী রাজ্য সরকারগুলির সমালোচনা করলেন ভগবন্ত মান। সুখবীর সিং বাদলের খালি চেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিনি আজ যা বলেন পরের দিনই তা ভুলে যান। আমি তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কারণ তিনি তাঁর দলের সভাপতি। অন্যথায় এই ধরনের বিতর্কে, যারা কী বলতে হবে তা জানে না, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তিনি জানেনই না ঘনাউর, ফরিদকোটে নাকি পাতিয়ালায়।” পঞ্জাবে কংগ্রেসের শাসন সম্পর্কে মান বলেন, “কংগ্রেস সরকার তো রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থাই খেয়ে নিয়েছিল। ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের প্রথম মেয়াদে সর্বাধিক টোল প্লাজা আরোপ করা হয়েছিল।” সুতলজ যমুনা সংযোগকারী খাল নিয়ে সমস্যার দায়ও কংগ্রেস-এসএডি-র উপরই চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনকতি হতে পারে, এই উদ্বেগে গোটা শহরে ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহরটি প্রায় দুর্গে পরিণত হয়েছে বলা যেতে পারে।। কৃষক, শিক্ষক এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষ, যারা এই বিতর্কে অংশ নিতে সকাল সকাল পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির দরজায় পৌঁছেছিলেন, তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে অনেক জায়গাতেই তাদের সংঘর্ষ বাধে। যার জেরে অধিকাংশকেই আটক করা হয়। আসলে, এই বিতর্কসভায় সাধারণ মানুষ অংশ নিতে পারবে কি না, এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে পঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকেই। ভগবন্ত মান সরকার প্রথমে এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। পরে, সেই সিদ্ধান্ত বদলে জানানো হয়, এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ এবং সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার থাকবে না।

এরপরও, মঙ্গলবার, পুলিশ কর্তাদের পক্ষ থেকে ফোন করে তাদের এই বিতর্কসভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়নের নেতারা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এদিনের সভায় যোগ দেবে ৫০ জন কৃষকের একটি দল। এদিন, ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়নের একদল কৃষক ঘটনাস্থলে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু, অনুষ্ঠান শুরুর আগেই পঞ্জাব পুলিশ তাদের আটক করে। বেকার যুবক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিএড ও টেট পাস বিক্ষোভকারীরাও এসেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। প্রত্যেককেই পুলিশ বাসে তোলা হয়। এমনকি, আটক করা হয় পঞ্জাবের নেশা বিরোধী মঞ্চের প্রতিনিধিদেরও।

সুতলজ যমুনা সংযোগকারী খাল ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলগুলি তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পরই, ৮ অক্টোবর, বিরোধী দলের নেতাদের এই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপি প্রধান সুনীল জখর, পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা, স্বজনপ্রীতি, নদীর জল বণ্টন, কৃষি এবং যুব কল্যাণের মতো রাজ্যের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দল আগেই জানিয়েছিল, তারা এই অনুষ্ঠান বয়কট করবে।

Next Article