Puri Temple Ratna Bhandar: সোনা-দানা ছাড়ুন, পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে ছিল ‘এই’ জিনিস যা ভাবতেও পারেননি কেউ…ভিতরে যেতেই স্তম্ভিত

Ratna Bhandar: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার পরই জানা গিয়েছিল যে ভিতর থেকে বেশ কয়েকটি দেব-দেবীর মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। বহুমূল্য বিভিন্ন ধাতুর তৈরি ওই মূর্তিগুলি বহু দশক ধরে কুঠুরির ভিতরেই অযত্নে পড়ে থাকায়, তা সম্পূর্ণ কালো হয়ে গিয়েছে।

Puri Temple Ratna Bhandar: সোনা-দানা ছাড়ুন, পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে ছিল 'এই' জিনিস যা ভাবতেও পারেননি কেউ...ভিতরে যেতেই স্তম্ভিত
কী রয়েছে রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে?Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 22, 2024 | 7:44 AM

ভুবনেশ্বর: ৪৬ বছর পর ফের খুলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। ভক্ত-সেবাইত থেকে সাধারণ মানুষের মনে আগ্রহ ছিল কী রয়েছে ওই ভাণ্ডারের ভিতরে, তা জানার জন্য। এবার রত্ন ভাণ্ডারের শুধু বাইরের অংশ নয়, ভিতরের কুঠুরিও তালা ভেঙে খোলা হয়েছে, যা আগেরবার করা হয়নি। আর রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কুঠুরি খুলতেই এমন সব জিনিস মিলছে, যার কথা কল্পনাও করতে পারেননি প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার পরই জানা গিয়েছিল যে ভিতর থেকে বেশ কয়েকটি দেব-দেবীর মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। বহুমূল্য বিভিন্ন ধাতুর তৈরি ওই মূর্তিগুলি বহু দশক ধরে কুঠুরির ভিতরেই অযত্নে পড়ে থাকায়, তা সম্পূর্ণ কালো হয়ে গিয়েছে। রত্ন ভাণ্ডারের সমীক্ষা শেষের পর তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এবার রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে বের হল আরও চমকপ্রদ জিনিস।

জানা গিয়েছে, রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের চেম্বার বা অংশ থেকে শতাব্দী প্রাচীন তলোয়ার, বর্শা ও বল্লম পাওয়া গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যখন রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের সমস্ত মূল্যবান সামগ্রী স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল, সেই সময়ই প্রাচীনকালে যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়।

১১ সদস্যের যে কমিটি মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে প্রবেশ করেছেন, তার এক সদস্য বলেন, “গত ১৪ জুলাই আমরা প্রাচীন কয়েকটি মূর্তি পেয়েছিলাম। এবার আমরা কিছু তলোয়ার ও বর্শা-বল্লম পেয়েছি। বিশালাকার একটি কাঠের সিন্দুকের পাশে এগুলি রাখা ছিল। অত্য়ন্ত ভারী এই অস্ত্রগুলি। তবে এত বছর বন্ধ থাকায়, তা কালো হয়ে গিয়েছে।”

রত্ন ভাণ্ডার সুপারভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ জানান, আপাতত অস্ত্রগুলিতে সুরক্ষিতভাবে সিল করে, অস্থায়ী স্ট্রং রুমে রাখা হয়েছে। সমীক্ষা শেষে এর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, ১১৯০-র দশকে রাজা অনন্তবর্মন দেব পুরীর জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছিলেন ১০.৭ একর জমির উপরে। ১৪৬০ সালে রাজা কপিলেন্দ্র দেব নাকি ১৬টি হাতির পিঠে চাপিয়ে বিপুল সোনা এনে রত্ন ভাণ্ডারে রেখেছিলেন। পরবর্তী সময়ে কমপক্ষে ১৮ বার পুরী মন্দিরে হামলা ও লুটপাট হয়। হামলাকারীদের কাছে পুরীর মন্দির অমূল্য খাজানার ঠিকানা ছিল। মন্দিরের সেবাইতদের দাবি, রাজারা হয়তো ওই সম্পদ রক্ষা করতেই রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র রেখেছিলেন।