Fake passport: পোস্ট অফিসকে হাত করেই জাল পাসপোর্ট চক্র? কী করে আড়ালে চলছিল গোপন কাজ? পর্দাফাঁস প্রাক্তন পুলিশ কর্তার
Fake passport: প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “পোস্ট অফিসের কিছু লোকজন এর সঙ্গে জড়িত আছে। ওরা কেমিকেল দিয়ে পাসপোর্টের যে আসল খাম সেটা খুলে ফেলছে। তারপর তার ভিতরে নকল পাসপোর্ট ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
কলকাতা: ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে চিন্তার শেষ নেই! সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সমরেশ বিশ্বাসের চক্রের হাত ধরে শেষ পাঁচ বছরে প্রায় তিন হাজার ভুয়ো ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে। উদ্বেগ বেড়েছে আম-নাগরিকদের মধ্যে। এই সমস্ত জাল পাসপোর্টের হাত ধরে কারা ভারতে ঢুকে পড়ল, কী তাঁদের উদ্দেশ্য তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। যারা এই সমস্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন তাঁরা এখন কোথায় রয়েছেন তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এই সমস্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে অনেকে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, সমরেশের পাসপোর্ট চক্রের সিংহভাগ জাল ছড়িয়েছিল দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়ার মতো জেলাতে। তবে তার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জায়গাতেই তাঁদের গতিবিধি নজরে এসেছে। তবে এই তিন জেলার ডাক বিভাগের অফিসার,কর্মী, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের অফিসাররাও এখন কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল বিভাগের গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন। কিন্তু কীভাবে জাল হল পাসপোর্ট? কীভাবেই বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সেই পাসপোর্ট?
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “পোস্ট অফিসের কিছু লোকজন এর সঙ্গে জড়িত আছে। ওরা কেমিকেল দিয়ে পাসপোর্টের যে আসল খাম সেটা খুলে ফেলছে। তারপর তার ভিতরে নকল পাসপোর্ট ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই জাল পাসপোর্ট সুনির্দিষ্ট জায়গায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের দিচ্ছে তাঁদের কিন্তু ওরা চেনে না।” এখানেই শেষ নয়। সত্যজিতবাবু প্রশ্ন তুলছেন পারপোর্ট অফিস থেকে শুরু করে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এমনকী ভুয়ো পাসপোর্ট পেতে এখানকার স্থানীয়রাও সাহায্য করছে বলে দাবি তাঁর। বলছেন, “কেউ নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে করে। অন্য ব্যক্তিকে দেখিয়ে বলছে এ আমাদের এখানে ২৫ বছর ধরে রয়েছে। অথচ সে এখানে ছিলই না। হয়তো বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে এসেছে। তাঁরাই ভিড়ের মধ্যে মিশে যাচ্ছে।”
পাসপোর্ট অফিস এমনকী পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলছেন, “পাসপোর্ট অফিসের লোকজনের সঙ্গে খাপ তৈরি হচ্ছে। এদিকে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন কিন্তু মানুষ দেখলে আপাতভাবে বুঝতে পারে তাঁরা জালি কিনা। কিন্তু, টাকা পেলে তাঁদের কেউ কেউ সেটা চেপে যাচ্ছে। কিছু কিছু পুলিশ অফিসারও এর সঙ্গে জড়িত আছেন বলেই মনে হয়। না হলে জাল পাসপোর্টের এত রমরমা হতো না।”