Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে কী পরিমাণ সোনা গচ্ছিত রয়েছে, জানুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Aug 02, 2023 | 10:49 AM

Jagannath Temple: হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, রত্নভাণ্ডারের ৩টি চেম্বার রয়েছে। একেবারে ভিতরের চেম্বারে যে অলঙ্কার সামগ্রী রয়েছে সেগুলি কখনও ব্যবহার হয়নি। কেবল অনুষ্ঠানের সময় বাইরের চেম্বারের অলঙ্কার সামগ্রী ব্যবহার হত।

Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে কী পরিমাণ সোনা গচ্ছিত রয়েছে, জানুন
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে বিপুল অলঙ্কার।
Image Credit source: টিভি৯ বাংলা

Follow Us

পুরী: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) রত্নভাণ্ডারে গচ্ছিত রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা। সাড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে তালাবন্ধ রয়েছে সেই রত্নভাণ্ডার। ফলে সেখানে গচ্ছিত সোনা-রুপো-মাণিক্যর পরিমাণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অবশেষে সেই সংশয়ের অবসান ঘটল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে গচ্ছিত গয়নার পরিমাণ সম্পর্কে ওড়িশা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করেছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (SJTA)। সেই হলফনামা অনুসারে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে গচ্ছিত সোনার পরিমাণ দেড় কুইন্টাল (১৫০ কেজি)। এই পরিসংখ্যানে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার ও সেখানে গচ্ছিত সম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-সহ ওড়িশা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করেছে SJTA প্রশাসন। সেই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, রত্নভাণ্ডারের ৩টি চেম্বার রয়েছে। একেবারে ভিতরের চেম্বারে যে অলঙ্কার সামগ্রী রয়েছে সেগুলি কখনও ব্যবহার হয়নি। কেবল অনুষ্ঠানের সময় বাইরের চেম্বারের অলঙ্কার সামগ্রী ব্যবহার হত। আর প্রতিদিনের অলঙ্কার সামগ্রীর জন্য বর্তমান চেম্বারটি ব্যবহার হত।

SJTA-র হলফনামা অনুসারে, ভিতরের চেম্বারে ৫০ কেজি ওজনের ৬০০ গ্রাম সোনা এবং ১৩৪ কেজি ওজনের ৫০ গ্রাম রুপো থাকত। আর বাইরের চেম্বারে ৯৫ কেজি ওজনের ৩২০ গ্রাম সোনা ও ১৯ কেজি ওজনের ৪৮০ গ্রাম রুপো থাকত। এছাড়া বর্তমান চেম্বারে ৩ কেজি ওজনের ৪৮০ গ্রাম সোনা এবং ৩০ কেজি ওজনের ৩৫০ গ্রাম রুপো থাকত।

দীর্ঘদিন রত্নভাণ্ডারের গেট খোলা না হওয়ায় সংস্কার হয়নি। ফলে বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থা হয়েছে। ছাদ, দেওয়ালের অবস্থা সঙ্গীণ। গত ৫ বছর ধরে রত্নভাণ্ডারের চাবি নিখোঁজ। তাই সেটির সংস্কারের জন্য সম্প্রতি পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব এবং জগন্নাথদেবের প্রধান পুরোহিত সোয়াই মহাপাত্র রত্নভাণ্ডার খোলার দাবি জানান। এদিকে, চাবি নিখোঁজ হওয়ায় জল গড়ায় ওড়িশা হাইকোর্ট পর্যন্ত। যদিও চাবি খুঁজতে ৫ বছর আগে তদন্ত কমিশন গড়েছিল নবীন পট্টনায়কের সরকার। সেই রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি। চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল ওড়িশা হাইকোর্ট।

Next Article