নয়া দিল্লি: সামনে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কিন্তু সবকিছু ছেড়ে-ছুড়েই বিদেশ পাড়ি দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবারই দলীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কারণে ইউরোপে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আগামী রবিবার তিনি দেশে ফিরবেন। আগামী বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের যে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠক রয়েছে, তাতেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলেই সূত্রের খবর। এর আগেও একাধিকবার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ-সমালোচনার শিকার হয়েছেন রাহুল গান্ধী। সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদের বাদল অধিবেশন রয়েছে। তার আগেই রাহুলের এই বিদেশ সফর ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই নিজের কাঁধে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে জাতীয় সভাপতির দায়িত্ব ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর থেকে মা সনিয়া গান্ধীই অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ও দলীয় কর্মীদের দাবি মেনেই কংগ্রেসে পাকাপাকিভাবে একজন সভাপতি নিয়োগ করা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ কোনও মুখ না থাকায় রাহুল গান্ধীকেই পুনরায় সভাপতি হিসাবে চান কংগ্রেস নেতারা। আগামিকালের বৈঠকেও সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু বিদেশ সফরের কারণে ওই বৈঠকে সামিল হবেন না খোদ রাহুলই।
উল্লেখ্য, ইটালিতে রাহুল গান্ধীর দিদা থাকেন। মাঝেমধ্যেই তিনি দিদার সঙ্গে দেখা করতে যান। এর আগে আংশিক লকডাউন চলাকালীনও বিদেশে দিদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাহুল। সেই সময়ও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুহূর্তেই ফের একবার ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে রাহুলের বিদেশ সফরে যাওয়া নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
আগামী সপ্তাহেই রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সংসদের বাদল অধিবেশনও শুরু হচ্ছে ওই সময় থেকেই। এবার কী কী ইস্যুতে সরব হবে বিরোধী দলগুলি, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলেচনা হবে বৃহস্পতিবারের কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে। একইসঙ্গে আগামী ২ অক্টোবর থেকে কংগ্রেসের য়ে ভারত জোড়ো যাত্রা সূচনার কথা রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাহুলের অনুপস্থিতি তাঁর নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। যদিও এই বৈঠকে রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে এখনও অবধি দলের তরফে মুখ খোলা হয়নি।